রসুনের খোসাও খাওয়া যায়? ছবি: সংগৃহীত।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলা থেকে সর্দি-কাশির ঘরোয়া টোটকা, রসুনের নানা গুণ। আর বাড়িতে আমিষ কোনও পদ রান্না হলে তা জানান দেওয়ার অর্ধেক দায়িত্ব তো রসুনের উপরেই গিয়ে পড়ে। কিন্তু রসুনে যত গুণ, তার খোসাও কি ততটা গুণের অধিকারী? পুষ্টিবিদেরা বলছেন, রসুনের খোসায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান। তা শরীরের নানা উপকারে লাগে। এ ছাড়া, গাছের জন্য কম্পোট সার তৈরি করতেও ব্যবহার করা যায় রসুনের খোসা।
ফেলে দেওয়া রসুনের খোসা আর কী কী কাজে লাগে?
১) রসুন তেল
পরিষ্কার কাচের শিশিতে রোদে শুকনো করে গুঁড়ো করা রসুনের খোসা এবং অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে রাখতে পারেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে তেলের ওই শিশি রোদে বসিয়ে রাখলেই তৈরি হয়ে যাবে রসুনের তেল। স্যালাডের ড্রেসিং হিসাবে অনেকেই এই তেল ব্যবহার করে থাকেন।
২) ফ্লেভার্ড ভিনিগার
ভিনিগারের নিজস্ব গন্ধ খুব একটা ভাল নয়। অথচ রান্নার কাজে তা ব্যবহার করতেই হয়। তাই ভিনিগারের বোতলে বেশ কিছু রসুনের খোসা যদি রেখে দেওয়া যায়, তা হলেই কেল্লাফতে। যে কোনও রান্নায় বা স্যালাডে ব্যবহার করা যায় এই ভিনিগার।
৩) জৈব সার তৈরিতে
রসুনের খোসা ফেলে না দিয়ে অন্যান্য আনাজের খোসা, ডিমের খোসার সঙ্গে মিশিয়ে ফেলতে পারেন। গাছের পুষ্টি বাড়িয়ে তুলতে এই জৈব সারের কোনও বিকল্প নেই।
৪) চা তৈরি করতে
আবহাওয়া পরিবর্তনে সাধারণ ঠান্ডা লাগা বা জ্বর-সর্দিতে দারুণ কাজ করে রসুনের চা। কিন্তু রসুনের ঝাঁঝাল গন্ধ অনেকেই সহ্য করতে পারেন না। তবে চায়ে রসুনের বদলে রসুনের খোসা ব্যবহার করা যেতে পারে। রসুনের মতো এত গন্ধ হবে না, আবার সব গুণাগুণ বজায় থাকবে।
৫) স্যুপ তৈরি করতে
রসুনের খোসা পরিষ্কার করে ধুয়ে, রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে কাচের বায়ুরোধী শিশিতে ভরে রাখতে পারেন। হঠাৎ রসুন শেষ হয়ে গেলে তার বিকল্প হিসাবে স্যুপ, স্টু, নুডল্স— সবেতেই ব্যবহার করা যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy