প্রতীকী ছবি।
কাজের জায়গায় কখনও মনোমালিন্য হলে, তা ঝট করে মিটিয়ে ফেলাই ভাল। এমন তো সকলেই বলে থাকেন। কিন্তু মনোমালিন্য একেবারে এড়ানো যায় কী ভাবে? তা এড়িয়ে চলতে পারলে তো আরও ভাল। তাই নয় কি?
রোজ একসঙ্গে কাজ করতে বসলে মতের অমিল মাঝেমধ্যেই হয়। কখনও বা একে-অপরের অজান্তেই কিছু বিষয় খারাপ লাগে। সেই খারাপ লাগা, মনের কষ্ট, ভুল বোঝাবুঝি সবটাই মিটিয়ে ফেলতে হবে চটজল্দি, এমনই মত দিচ্ছেন মনোবিদেরা। না হলে কাজে তার প্রভাব পড়তে পারে।
কিন্তু কী ভাবে তা সম্ভব? কিছু কিছু বিষয়ের দিকে নজর দিলে তা করা যায় সহজেই।
শান্ত থাকুন
কোনও কঠিন পরিস্থিতিতেই শান্ত থাকাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। রাগ করে কোনও পদক্ষেপ না করাই ভাল। বরং মাথা ঠান্ডা হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন বিষয়টি নিয়ে একটিও কথা বলার আগে।
ভুল বোঝাবুঝি হলে, তা নিয়ে অন্যের সঙ্গে আলোচনা নয়
কারও কোনও কাজে খারাপ লাগলে প্রথম প্রবণতা থাকে অন্য কোনও সহকর্মীর কাছে গিয়ে তা বলা। এতেই তিক্ত হয় পরিস্থিতি। খেয়াল রাখতে হবে, এই কাজ একেবারেই করা চলবে না।
যাঁর উপরে রাগ হয়েছে, পারলে তাঁকেই বলুন
রাগ করে কথা বন্ধ করবেন না। বরং কী খারাপ লেগেছে, তা গিয়ে বলুন আপনার সহকর্মীকে। কথা কাটাকাটি একটু বাড়লেও, মিটমাট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা এতে বেশি।
প্রয়োজনে ম্যানেজারের সাহায্য নিন
নিজেদের মধ্যে মিটমাট না করতে পারলে সাহায্য নিন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। অন্য কারও কাছে বলার তুলনায় তাঁকে বলাই সবচেয়ে ভাল। ঊর্ধ্বতন কারওর উপদেশ নিয়ে প্রয়োজনে নিজেদের আচরণেও বদল আনা যায়।
খেয়াল রাখুন জায়গাটি কাজের। সেখানে ব্যক্তিগত মনোমালিন্য নয়, বরং কাজকেই গুরুত্ব দিন। তা হলেই সমস্যা কম হবে বলে মনে করাচ্ছেন মনোবিদ ঝুমা বসাক। তাঁর বক্তব্য, ‘‘একটা কথা মনে রাখা ভাল, একটি সংস্থায় আপনি আছেন নিজের কাজ করার জন্য। সেটায় সকলের আগে মন দিন। কাজটা ভাল ভাবে করতে পারলে মন-মেজাজ ভাল থাকবে। অন্যের সঙ্গে সমস্যাও কম হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy