আর দেরি হবে না, এই নিয়মগুলি মানুন। ছবি: ফ্রিপিক।
রোজই ভাবেন, আজ তাড়াতাড়ি অফিসে পৌঁছবেন, কিন্তু তা আর হয়ে ওঠে না! প্রতি দিনই অফিসে ঢুকতে দেরি। বসের তিরিক্ষে মেজাজ সামলাতে সামলাতে মনে উদ্বেগের পাহাড়। সন্তানকে স্কুল থেকে নিতে যাওয়া হোক বা বন্ধুদের সান্ধ্য আড্ডায় সঠিক সময়ে পৌঁছনো— কোনও কাজই ঘড়ি ধরে করতে পারেন না? সময়ের গুরুত্ব বুঝে গুছিয়ে কাজ করার অভ্যাস অনেকেরই নেই। অথবা পরিকল্পনা যেটা করেন, সেই মতো সময় ধরে কাজ করে উঠতে পারেন না। কারণ, কোন কাজে কতখানি সময় দিতে হবে, তা আন্দাজ করে সেই মতো কাজ করা এবং সময়ে তা শেষ করা, এই দুই অভ্যাস রপ্ত না হলেই মুশকিল। তখনই দেরিটা হবে। তা হলে উপায় কী?
১) সময়ের গুরুত্ব বুঝতে হবে। মনোবিদেরা জানাচ্ছেন, কোন কাজ কত সময় ধরে করবেন, কোনটি আগে এবং কোনটি পরে করতে হবে, সেটা সর্বাগ্রে বুঝতে হবে। প্রতিটি কাজের জন্যই আলাদা করে সময় বরাদ্দ করতে হবে। তা হলেই গুছিয়ে সব কাজ শেষ করা যাবে। একই সময়ে সব কাজ একসঙ্গে করতে শুরু করলে সবটাই তালগোল পাকিয়ে যাবে।
২) কাজের পরিকল্পনা করাটা খুবই জরুরি। ধরুন, যে দিন অফিস যাবেন, সে দিন ঘড়িতে অ্যালার্ম দিয়ে একটু তাড়াতাড়ি উঠুন। হাতে দুই থেকে তিন ঘণ্টা সময় রাখতেই হবে। তা হলেই দেরি হয়ে যাবে বলে দুশ্চিন্তা শুরু হবে না। অনেকেই দেরি করে ঘুম থেকে উঠে তাড়াহুড়ো শুরু করেন। ফলে কোনও কাজটাই ঠিক করে হয় না। তাড়াহুড়োয় প্রাতরাশ না করেই বেরিয়ে যান অনেকে। তার খারাপ প্রভাবও পড়ে শরীরে।
৩) লেখা অনেকেরই আসে না। সবাই লেখক নন। কিন্তু নিজের মনের কথা সহজ ভাষায় লেখাই যায়। ডায়েরি লেখার অভ্যাস থাকলে খুব ভাল। না থাকলে, অভ্যাস করুন রোজনামচা লেখার। সকালে উঠে কাজ শুরু করার পর থেকে রাতে ঘুমোতে যাওয়া অবধি কী কী কাজ করতে হবে, কোন কাজটি করলেন আর কোনটি পরে করবেন বলে রেখেছেন, সব পয়েন্ট করে লিখে রাখুন। তা হলেই খেয়াল থাকবে যে, ঠিক কী কী কাজ করতে হবে আপনাকে। তখন নিজেই ঘড়ি ধরে সময় ঠিক করে নিতে পারবেন।
৪) লক্ষ্য স্থির করা খুব জরুরি। সেই মতো প্রতি দিনের কাজ গোছাতে হবে। কোনও কাজই কাল করব বলে ফেলে রাখা চলবে না। কাজ শেষ করার অভ্যাস করতেই হবে। কোন কাজের গুরুত্ব বেশি, সেটি নিজেকেই ঠিক করতে হবে। সময় নষ্ট করার বদলে গুরুত্ব বিচার করে কাজকেও ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। তা হলেই লক্ষ্যের পথ মসৃণ হবে। সময়ের গুরুত্ব বোঝার মানসিকতা তৈরি হবে।
৫) আপনি কি খুব দুশ্চিন্তায় ভুগছেন? না কি মন জুড়ে অবসাদ? তা হলেও কিন্তু কাজ অগোছালো হয়ে যাবে। অতিরিক্ত উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা থাকলে কাজে উৎসাহ আসবে না। রাতে ঘুমও ঠিক করে হবে না, ফলে সকালে উঠতে দেরি হবে। সে ক্ষেত্রে নিয়ম করে প্রতি দিন ধ্যান, প্রাণায়াম করতে হবে। দিনে অন্তত ৩০ মিনিটও যদি শরীরচর্চার জন্য রাখা যায়, তা হলে তফাতটা নিজেই বুঝতে পারবেন। সেখানেও সময় নেই বলে এড়িয়ে গেলে চলবে না। যে সময়ে ঘুম থেকে ওঠেন, তার থেকে আধ ঘণ্টা আগে উঠুন। সকাল সকাল শরীরচর্চা করে নিলে সারা দিনের কাজের শক্তি পাওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy