লোকে কী বলবে! সঙ্গে অনুত্তমা
বিয়ে করার ইচ্ছা নেই। নিজের জীবনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। একাই থাকবেন। কিন্তু নানা প্রশ্নে ক্লান্ত। বিয়ে করিসনি কেন? বয়স হলে কে দেখবে? শারীরিক কোনও সমস্যা নেই তো?
আরও কত জনের যে কত ভাবনা উড়ে আসে!
যিনি বিয়ে করেননি, তিনি তো জানেনই। যিনি করেছেন, তিনিও যথেষ্ট পরিচিত সে সব প্রশ্নের সঙ্গে। এত কথার চাপে পড়ে মন অস্থির করে। কখনও মন খারাপ লাগে। কখনও মনে হয়, বুঝি বিয়ে করে ফেললেই সমস্যার সমাধান হয়ে যেত। রবিবার এমনই নানা অনুভূতির কথা উঠে এল আনন্দবাজার অনলাইনের ইউটিউব এবং ফেসবুকের অনুষ্ঠান ‘লোকে কী বলবে! সঙ্গে অনুত্তমা’-র তৃতীয় পর্বে।
এ পর্বের বিষয় ছিল ‘বিয়ে করিসনি কেন?’ একটি বয়সের পর বিয়ে করা আর না করা নিয়ে যে কত সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় এক এক জনকে, সে সংক্রান্ত নানা অভিজ্ঞতার কথা ইতিমধ্যেই ই-মেলে পৌঁছে গিয়েছিল মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। তেমনই কিছু প্রশ্ন এবং অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা শুরু করেন অনুত্তমা। কারও কথায় উঠে আসে বিয়ে না করার কারণে বাবা-মায়ের দুশ্চিন্তার কথা, কেউ বা আবার জানান পরিবারের চাপের মুখে পড়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে করে কী সমস্যায় পড়েছেন, সে কথা। সকলের সঙ্গে সে সব অভিজ্ঞতার চিঠি ভাগ করে নেন মনোবিদ। মনে করান, বিয়ে করেই যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যায়, সে কথা ভাবার কোনও কারণ নেই। বরং নতুন কোনও সমস্যার সূত্রপাতও ঘটতে পারে একটি বিয়ের কারণে। ফলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে বিয়ের মতো কোনও সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার আগে নিজের মত দৃঢ় ভাবে প্রকাশ করতে পারা জরুরি। তাতে নিজেকে তো সমস্যা থেকে কিছুটা রক্ষা করা যাবেই, সঙ্গে যাকে বিয়ে করবেন, তার জীবনে সমস্যা ডেকে আনার অন্যায় থেকে নিজেকে দূরে রাখা যেতে পারে। অনুত্তমা বলেন, ‘‘বিয়ে করতে না চাওয়া বা বিয়ে করতে চাওয়া, এর সঙ্গে শুধু একটি ভাবনাই যুক্ত। তা হল এই প্রতিষ্ঠানে ঢুকব কি ঢুকব না, সেই প্রশ্ন। এর সঙ্গে আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা, আমি দায়িত্ব নিতে চাই কি না, প্রতিশ্রুতিতে সমস্যা আছে কি নেই, এ সবের সরাসরি কোনও যোগ সে ভাবে গড়ে তোলা যায় না। আমাদের কাছে বিয়ে নিয়ে এক ধরনের চটজল্দি সমাধানের চিত্র আছে। আমরা ধরে নিই, সব সমস্যার সমাধান যেন বিয়ের হাতে। কিন্তু মুশকিল হল, এর কারণেই বিয়ে বিষয়টি অনেকের কাছে আরও ভয়াল হয়ে উঠেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy