বেগুনের কত যে গুণ!
শীতের শেষ, বসন্তের শুরু। হাওয়ায় দোল লেগেছে। সেই সঙ্গে চামড়ায় টান। এই টানে শীত শুরুর রুক্ষতা নেই বটে, তবে একটা জ্বালা ধরানো অস্বস্তি আছে, পেটের গোলমালও নিত্যসঙ্গী। হঠাৎ ঠান্ডা থেকে হঠাৎ গরম। পেটের আর দোষ কী?
এ সময়ে শরীর শীতল রাখতে কী খাবেন? হাজার রোগবালাই থেকেই বা রক্ষা পাবেন কী করে? আমিষ খাবার যা-ই খান না কেন, নিরামিষের দু’-চারটে পদ রোজকার পাতে রাখতেই হবে। আর সেই কথা ভাবতে গিয়েই এ সময়ের কয়েকটা শাক, আনাজের কথা মাথায় রাখা যায়। তার মধ্যে এক্কেবারে উপরের দিকে রাখুন বেগুনকে।
কোনও গুণ নাই যার, সে হল বেগুন! এ সব বলে যত মশকরাই করা হোক না কেন, সত্যটা একেবারে আলাদা। ত্বক ও চোখ ভাল রাখতে খুবই সাহায্য করে বেগুন। বেগুনে ক্যালোরি অত্যন্ত কম থাকায়, ওজন বেড়ে যাওয়ারও ভয় নেই। ফাইবার আর জলীয় ভাগই বেশি থাকে এই আনাজে। রক্তে কোলেস্টেরল কমাতে এবং ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিশেষ উপকারি এই বেগুন। বেগুনের গুণ কত, তা বোঝা যায় এই আনাজকে নিয়ে গল্পের বাহার দেখলেই। বাঙালির অতিপরিচিত কত গল্পেই যে এসেছে এই আনাজের কথা। যেমন, উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর সেই ‘টুনটুনি আর বিড়ালের কথা’-এ টুনটুনি পাখি গৃহস্থদের ঘরের পিছনের বেগুন গাছের পাতায় ঠোঁট দিয়ে সেলাই করে তার বাসা বেঁধেছিল। আবার মনে পড়ে ত্রৈলোক্যনাথ? তাঁর ডমরুচরিত’-এর একটা গল্পে মরা কুমীরের পেটের ভিতরে বসে এক মহিলা বেগুন বিক্রি করেছিলেন। হ্যাঁ, আমরা সেই বেগুনের কথাই বলছি।
কী ভাবে খাবেন বেগুন? বাহারি রান্নার তো অভাব নেই। কত ভাবে যে বেগুন বাঁধা যায়, তার বোধ হয় কোনও ঠিক নেই। বাংলার এক-এক অঞ্চলে, এক-এক ধরনের বেগুনের পদ দেখা যায়। এখনও নিত্য নতুন পদ তৈরিও হয়। তবে গরমকালের দুপুরে ভাতের সঙ্গে বেগুন সিদ্ধ কিংবা কালো জিরে দিয়ে হাল্কা আলু-বেগুনের ঝোলের এখনও কোনও বিকল্প নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy