১. ডাল রান্নার আগে তা ভিজিয়ে রাখা জরুরি। এক এক রকম ডাল রাঁধার এক এক রকম নিয়ম। মুসুর ডাল যেমন চট করে ভিজে যায়। আবার বিউলি বা ছোলার ডাল ভিজতে একটু বেশি সময় লাগে। মুগ কিংবা মুসুর ১৫-৩০ মিনিট ভিজিয়ে রাখলেই যথেষ্ট। আবার অড়হর ডাল, ছোলার ডাল অন্তত ২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখা দরকার। ডাল ভিজে নরম হলে সেদ্ধ হতে সময় কম লাগে। ফলে রান্নার সময় যেমন বাঁচে, সুসিদ্ধ হলে খেতেও ভাল লাগে।
২. খাওয়ার জন্য পরিশোধিত জল ব্যবহার করলেও অনেকেই রান্নায় সরাসরি কলের জল ব্যবহার করেন। এই ধরনের জলে অনেক রকম খনিজ মিশে থাকে। কোথাও জলে আয়রনের পরিমাণ বেশি হয়। ডাল রাঁধার সময় এমন জল ব্যবহার করলে স্বাদেও তার প্রভাব পড়ে। সুতরাং, খাওয়ার জলেই ডাল রান্না করা উচিত।
আরও পড়ুন:
৩. ডালের স্বাদের সঙ্গে বিভিন্ন উপকরণের পরিমাপ এবং ফো়ড়নের গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। প্রতিটি ডালের জন্য আলাদা ফোড়ন রয়েছে। আবার একই ডালে এক এক রকম ফোড়ন দিলে স্বাদের তফাত হয়। মুসুর ডালে কালো জিরে ফোড়ন দিলে এক রকম স্বাদ হবে, আবার শুকনো রসুন এবং পেঁয়াজ ফোড়নে স্বাদ বদলাবে। এ ছাড়াও নুন, হলুদের পরিমাণ, কখন তা দেওয়া হচ্ছে, এগুলিও জরুরি। অনেকে একেবারে শেষ ধাপে হলুদ যোগ করেন। তার পর ভাল করে ডাল না ফোটালে তা থেকে হলুদের কাঁচা গন্ধ ছাড়তে পারে।
৪. ডাল সুসিদ্ধ না হলে যেমন স্বাদ ভাল হবে না, তেমনই অতিরিক্ত গলে গেলেও তা কারও মুখে রুচবে না। প্রথমেই অতিরিক্ত জল না দিয়ে, ডালটি সেদ্ধ হওয়ার মতো জল দিন। ডাল ঠিক মতো সেদ্ধ হলে তা কতটা ঘন বা পাতলা রাখতে চান, বুঝে জল দিন।
৫. রান্নার পর সঙ্গে সঙ্গে পরিবেশন না করে একটু সময় রাখা দরকার। ডাল ঘন, পাতলা বিভিন্ন ভাবে রান্না হয়। তার উপকরণেও তফাত হয়। পদ ভেদে মশলার ব্যবহার ভিন্ন হয়। রান্নার পর কিছুটা সময় তা রেখে দিলে মশলার স্বাদ ভাল ভাবে তার মধ্যে যায়। ফোড়নের গন্ধ ভাল করে মিশতে পারে।