হাসপাতালের ভেতরে তাণ্ডব চালানো এবং ডেপুটি সুপারকে মারধরে অভিযুক্ত মেদিনীপুর মেডিক্যালের তিন জুনিয়র ডাক্তার মেদিনীপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। মঙ্গলবার তাঁরা মেদিনীপুরের সিজেএম মঞ্জুশ্রী মণ্ডলের এজলাসে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন জানান। বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিনযোগ্য ধারাতেই চার জনের নামে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। এ দিন সফিকুল সরকার, শুভজিৎ অধিকারী এবং মহম্মদ শাহিদ রফি খান মেদিনীপুর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামি পান। মধুরেশ সমাদ্দার নামে অন্য এক অভিযুক্ত শহরের বাইরে রয়েছেন। অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী গৌতম মল্লিক বলেন, “ওই দিন হাসপাতালের ভেতরে একটা গোলমাল হয়েছিল ঠিকই, তবে যে চারজন জুনিয়র ডাক্তারের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল, তাঁদের কেউই গোলমালে যুক্ত ছিলেন না।”
ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবারের। ওই দিন দুপুরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাদের একাংশের বিরুদ্ধে হাসপাতালে তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ ওঠে। জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ সুপারের ঘরে দাবি জানাতে গিয়ে ভাঙচুর, নথিপত্র তছনছের পাশাপাশি ডেপুটি সুপার বিশ্বনাথ দাসকে মারধর করেন বলেও অভিযোগ। ডেপুটি সুপারকে বাঁচাতে গিয়ে হেনস্থার মুখে পড়েন হাসপাতালের কর্মী অচিন্ত্য পাঠক। বিশ্বনাথবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। খবর পেয়ে আসেন মেদিনীপুর মেডিক্যালের পরিচালন সমিতির সভাপতি তথা বিধায়ক মৃগেন মাইতি। তিনি জানান, কয়েকজন জুনিয়র ডাক্তার গুন্ডামি করেছে। পরে মেদিনীপুর কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ডেপুটি সুপার। সেই মতো চারজন জুনিয়র ডাক্তারের নামে মামলা রুজু হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy