সচরাচর যে দিন শেষ হয়, এ বার সেই দিন শুরু! রেওয়াজ ভাঙার এই ঘটনায় চর্চা শুরু হয়েছে সিপিএমের একাংশে।
আসন্ন পার্টি কংগ্রেসের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দলিল নিয়ে আলোচনা করতে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক শুরু হচ্ছে কাল, রবিবার। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা বলেই দিল্লিতে ওই বৈঠক চলবে চার দিন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সাধারণত কেন্দ্রীয় কমিটির এমন ম্যারাথন বৈঠক হয় না। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে বৈঠক শুরুর জন্য রবিবারকে বেছে নেওয়া নিয়ে। সাধারণ ভাবে কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক বসে সপ্তাহান্তে। শেষ হয় রবিবার। এ বার ঠিক তার উল্টো বন্দোবস্ত! অন্যান্য রাজ্য থেকে যাঁরা বৈঠকে যোগ দিতে আসবেন, দিল্লি যাতায়াতের সময় ধরে তাঁদের প্রায় গোটা একটি সপ্তাহই এ বার বাইরে কাটাতে হবে।
সিপিএম সূত্রের খবর, দলের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাটের জন্যই এমন ব্যতিক্রমী ব্যবস্থা করতে হয়েছে এ বার। কারাট গিয়েছেন ছুটি কাটাতে। তাঁর ফেরার কথা শনিবার। তার পর দিন থেকেই বসবে কেন্দ্রীয় কমিটি। অক্টোবরের শেষ দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, ত্রিপুরা-সহ সিপিএমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সব রাজ্যেই সম্মেলন-প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। তাই বৈঠক ফেলে রাখাও মুশকিল। সব মিলিয়ে কারাট ফিরতেই বৈঠক সেরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত।
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এক বর্ষীয়ান সদস্যের কথায়, “সপ্তাহের কাজের দিনে বিধায়ক বা সাংসদদের নানা কমিটি বৈঠক-সহ রাজ্য নেতাদেরও আরও কিছু কর্মসূচি থাকে। সেই জন্যই সপ্তাহের শেষের দিকে বৈঠক করার রেওয়াজ। কিন্তু সাধারণ সম্পাদক ছুটিতে যাবেন বলে তাঁর সুবিধার্থে অন্য রকম আয়োজন করতে হবে, কমিউনিস্ট পার্টির পক্ষে এই বার্তা ভাল নয়!” দলের এই অংশের যুক্তি, পলিটব্যুরোর বৈঠক হয় হাতে-গোনা কিছু নেতাকে নিয়ে। সেই বৈঠক সপ্তাহের মাঝখানেও হয়ে থাকে। কেন্দ্রীয় কমিটিতে যে হেতু নানা রাজ্যের বিধায়ক-সাংসদেরা যুক্ত, সেখানে অন্য প্রথা মেনে চলা হয়।
গোটা দেশেই দল যখন ধারাবাহিক ভাবে নানা বিপর্যয়ের মুখে, তার মধ্যেই সাধারণ সম্পাদকের ছুটি কাটাতে যাওয়া নিয়ে আগেও প্রশ্ন উঠেছে সিপিএমে। এ বারও একই প্রশ্ন। যদিও দলের অন্য একাংশ এই বিষয়টিকে ধর্তব্যের মধ্যেই আনতে নারাজ! এক কেন্দ্রীয় নেতার কথায়, “দলের বৈঠক যে কোনও সময়ই করা যেতে পারে। এতে আবার বিতর্ক কীসের?”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy