বিহারকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়ার দাবিতে পটনার গাঁধী ময়দানে ধর্নায় বসলেন নীতীশ কুমার।
আজ বেলা সাড়ে ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গাঁধী মূর্তির সামনে ধর্নায় বসেন তিনি। বলেন, “বিহারের মানুষেরও উন্নয়নের অধিকার রয়েছে। সীমান্ধ্রকে এক দিনের মধ্যে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দেওয়া হলে বিহারকে তা দেওয়া যাবে না কেন?”
বিশেষ রাজ্যের মর্যাদার দাবিতে আজই রাজ্য জুড়ে বন্ধ ডেকেছিলেন নীতীশ। পুলিশ সূত্রের খবর, রাজ্যের কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ছুটির দিনে রাস্তায় গাড়ির সংখ্যা কমই ছিল। রবিবার হওয়ায় বন্ধ ছিল স্কুল, কলেজ, অফিস। তবে বন্ধ সমর্থকদের অবরোধে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়।
নীতীশ প্রশ্ন তোলেন, “বিজেপি-র সমর্থন নিয়ে কংগ্রেস সীমান্ধ্রকে বিশেষ রাজ্যের মর্যাদা দিয়েছে। বিহারের সঙ্গে তা হলে ভেদাভেদ করা হচ্ছে কেন?” আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁরা দাবি আদায়ে সক্ষম হবেন বলেও জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
এ দিকে, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের এই আন্দোলনকে ‘নাটক’ বলে চিহ্নিত করে আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব বলেন, “২০০২-এ তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী রাবড়ি দেবীও বিশেষ রাজ্যের মর্যাদার দাবি তুলেছিলেন। ওই সময় নীতীশ ছিলেন কেন্দ্রের এনডিএ জোট সরকারের মন্ত্রী। তখন তিনি ওই দাবি সমর্থন করেননি। এখন ভোটের বাজারে নাটক করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইছেন।” একই দাবিতে আজ ঝাড়খণ্ড বনধেরও ডাক দেয় আজসু, জেভিএম, জেডিইউ। রেল সূত্রের খবর, অবরোধের জেরে ধানবাদে আটকে যায় রাজধানী এক্সপ্রেস। জামশেদপুর স্টেশনেও অবরোধ হয়। রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভে থমকে যায় জনজীবন। সকালে রাঁচিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়ে গ্রেফতার হন আজসু শীর্ষ নেতা সুদেশ মাহতো।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy