নরেন্দ্র মোদীর ‘গুজরাত মডেল’ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্কে জড়ালেন মুম্বইয়ের সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের অধ্যক্ষ ফাদার ফ্রেজার মাসকেরেনাস।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, মোদীর উন্নয়ন মডেলের সমালোচনা করে কলেজের ছাত্রদের ইমেল পাঠিয়ে তিনি উপদেশ দিয়েছেন, ‘ভাবনাচিন্তা করে ঠিক নেতা বেছে নাও।’ মুম্বইয়ে বৃহস্পতিবার ভোট। বিজেপি ইতিমধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানিয়েছে। যদিও ফাদার ফ্রেজারের বক্তব্য, “কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নাম ইমেলে উল্লেখ করিনি। ছাত্ররা ভোট দেওয়ার আগে সব দিক বুঝে সিদ্ধান্ত নিক, সেটুকুই চেয়েছিলাম।”
অধ্যক্ষ ইমেলে ছাত্রদের যা জানিয়েছিলেন, সেটা আবার কলেজের ওয়েবসাইটেও মঙ্গলবার দেওয়া হয়। ইমেলে অধ্যক্ষ লিখেছেন, “মানব উন্নয়নের সূচক এবং সাংস্কৃতিক মেরুকরণ থেকে বোঝা যায় যে গত দশ বছরের গুজরাত কী ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী। তাই এই ভোট থেকে আমরা কী শিক্ষা নেব? বৃহৎ পুঁজির সঙ্গে মিলে সাম্প্রদায়িক শক্তির জোট ক্ষমতায় এলে আমাদের ধর্মনিরপেক্ষ গণতন্ত্রের ভবিষ্যতের পক্ষে তা সত্যিই উদ্বেগের।” ওই ইমেলে খাদ্য সুরক্ষা আইন এবং কংগ্রেসের আনা রোজগার যোজনার মতো প্রকল্পের প্রশংসা করা হয়েছে। ফ্রেজার লিখেছেন, “দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অমর্ত্য সেন এবং জঁ দ্রেজের মতো আমাদের কয়েক জন বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানীও এই ধরনের প্রকল্পের প্রয়োজনীয়তা মেনে নিয়েছেন।”
কিন্তু ফ্রেজারের এই কাজে আপত্তি জানিয়েছে বেশ কিছু দল। বিজেপির নির্মলা সীতারামন আজ বলেছেন, “কেউ তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতেই পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কিছু লিখে ছাত্রদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।” ফ্রেজার বলেছেন, “অধ্যক্ষরা ছাত্রদের ভোট দিতে উৎসাহ দেন। এটা খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। এ ক্ষেত্রেও তাঁদের ভোটদানে উৎসাহ দিতে গিয়ে অধ্যক্ষ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে ভেবে ভোট দিতে বলেছেন।” তা ছাড়া তাঁর দাবি, “শুধু গুজরাত মডেল নয়, আমি কংগ্রেস সরকারেরও সমালোচনা করেছি। এবং যতটা সম্ভব নিরপেক্ষ থেকেই সেটা করেছি। যদিও তাতে সমালোচনা বন্ধ হয়নি।” সোশ্যাল মিডিয়াতেও ফ্রেজারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy