কথা দিয়েও তা রাখতে পারেননি প্রকাশ কারাট। ক্ষুব্ধ সমাজবাদী পার্টির (সপা) প্রধান মুলায়ম সিংহ যাদব তাই শিক্ষা দিতে চান সিপিএমকে। পশ্চিমবঙ্গের চার কেন্দ্রে সপা-র প্রার্থী দাঁড় করানোর সেটাই অন্যতম কারণ। আগামী দিনে আরও বেশ কিছু কেন্দ্রে সপা প্রার্থী দিতে পারে। লক্ষ্য একটাই ভোট কেটে বামেদের শিক্ষা দেওয়া। সেই সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ানো।
মুলায়মকে বাদ দিয়ে কারাটের তৃতীয় ফ্রন্ট সম্ভব নয়। তা বুঝতে পেরেই রাজ্যের দু’টি আসন সপাকে ছাড়ার জন্য এক মাস আগে থেকে কারাটকে অনুরোধ করেছিলেন মুলায়ম। সপা সূত্রে খবর, কারাট মুলায়মকে আশ্বাস দিয়েছেলেন, সিপিএমের দু’টি হেরে যাওয়া কেন্দ্র তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে। সপার সাধারণ সম্পাদক কিরণময় নন্দের সঙ্গে কথা বলে রায়গঞ্জ এবং মালদহ উত্তর কেন্দ্রের জন্য কারাটকে আনুরোধ করেন মুলায়ম। দু’টি আসনেই গত বার কংগ্রেস জিতেছিল। কারাট এ কথা আলিমুদ্দিনকে জানান। দলের রাজ্য সম্পাদক বিমান বসু তাঁকে জানান, বিষয়টি নিয়ে তিনি দলে আলোচনা করবেন।
কিন্তু সোমবার বিকেলে মুলায়ম জানতে পারেন, পশ্চিমবঙ্গে সপাকে কোনও আসন ছাড়তে রাজি নয় সিপিএম। মুলায়ম আবার কথা বলেন কারাটের সঙ্গে। তখনও কারাট তাঁকে আশ্বাস দিয়ে জানান, চিন্তার কারণ নেই। কিন্তু বুধবার বামেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার সময় জানা যায় সপাকে কোনও আসন ছাড়া হয়নি। ক্ষুব্ধ মুলায়ম বুধবার সন্ধ্যায় ভোপাল থেকে কিরণময়বাবুকে দিল্লিতে ডেকে পাঠান। এবং বৃহস্পতিবারের মধ্যেই অন্তত চারটি কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণার নির্দেশ দেন।
কিরণময়বাবু বলেন, “কারাট বার বার কথা দিয়েও তা রাখেননি। এতে মুলায়মজি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ ও অপমানিত বোধ করেছেন। তাঁর নির্দেশেই আমরা বামফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে এসে সিপিএমকে বার্তা দিতে চেয়েছি।” শনিবার কাঁথির সিপিএম প্রার্থী তাপস সিংহের সমর্থনে করা দু’টি সভায় এর উত্তর দিয়েছেন রবীন দেব। তৃণমূলকে আক্রমণের পাশাপাশি কিরণময়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বামফ্রন্ট থেকে নেওয়া শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই এখন উত্তরপ্রদেশে গিয়ে রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন কিরণময় নন্দ।”
কেন সপার দাবি মানা হল না? সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, “সপার কোনও সাংগঠনিক শক্তি নেই। অথচ, আসন চেয়েছিল। তাই দেওয়া হয়নি।” কিন্তু এ ঘটনার জের শেষ পর্যন্ত জাতীয় স্তরে গড়াতে পারে বলে সিপিএমেরই একাংশ চিন্তিত।
সপা সূত্রে খবর, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার মতো মুলায়মও আগামী দিনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ানোর পথে হাঁটতে পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy