সেই মুহূর্ত। মঙ্গলবার। ছবি: পিটিআই।
অরবিন্দ কেজরীবালকে এ বার মালা পরিয়ে চড় মারলেন এক অটোরিকশা চালক। নির্বাচনী প্রচারের সময়ে এ নিয়ে চতুর্থ বার আক্রান্ত হলেন আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা। টুইটারে তাঁর প্রশ্ন, ‘কারা আমার উপরে হামলা চালাচ্ছে? তারা কী চায়?’ দল অবশ্য সরাসরি ‘জাতপাত, ধর্মভিত্তিক রাজনীতির’ পরিচালকদের দায়ী করেছে।
আজ উত্তর-পশ্চিম দিল্লির সুলতানপুরিতে প্রচার করছিলেন কেজরীবাল। খোলা জিপে দাঁড়িয়ে ছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। নীল জামা পরা এক ব্যক্তি জিপে উঠে মালা পরিয়ে দেয় তাঁকে। তার পর হঠাৎ বাঁ গালে সপাটে চড়। সঙ্গে সঙ্গেই হামলাকারীকে ধরে ফেলেন আপ সমর্থকেরা। তাকে মারধর করা হয়। কেজরীবাল হামলাকারীকে ছেড়ে দিতে নির্দেশ দেন। তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। আপাতত সে হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় অটোচালক ওই ব্যক্তির নাম লাল্লি। কেজরীবাল অটোচালকদের সঙ্গে বেইমানি করেছেন বলে তার অভিযোগ। প্রসঙ্গত, দিল্লি বিধানসভা ভোটে আপের হয়ে কাজ করেছিলেন অনেক অটোচালক।
বারাণসীতে নরেন্দ্র মোদীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার দিনেই তাঁকে লক্ষ্য করে কালি ছোড়া হয়। গত সপ্তাহে হরিয়ানার ভিওয়ানিতে তাঁর উপরে হামলা হয়। পরে দিল্লির দক্ষিণপুরিতে তাঁকে চড় মারে এক ব্যক্তি। পুলিশের দাবি, তাঁর নাম আব্দুল ওয়াহিদ। তাঁর উপরে হামলা হলে পাল্টা আঘাত না করতে সমর্থকদের ইতিমধ্যেই নির্দেশ দিয়েছেন কেজরীবাল। ‘ভিআইপি সংস্কৃতি’-র অঙ্গ হতে চান না বলে দাবি করে নিরাপত্তাও নেননি তিনি।
হামলাকারীদের ‘ক্ষমা’ করলেও কেজরীবাল নিজেও যে পর পর এই ঘটনায় কিছুটা চিন্তায় পড়েছেন তার প্রমাণ টুইটার। সেখানে তিনি লিখেছেন, কারা হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছে তা তিনি জানতে চান। সেই সঙ্গে অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে মেরে যদি দেশের সমস্যার সমাধান হয় তা হলে যে কোনও জায়গায় হাজির থেকে মার খেতে তিনি রাজি।
আপের অন্য সদস্যরা আঙুল তুলছেন বিরোধীদের দিকে। আপ প্রার্থী আশুতোষ বলেন, ‘এই হামলা বিজেপির কাজ।’ আর এক শীর্ষ নেতা মণীশ সিসৌদিয়া বলেন, “ধর্ম, জাতপাত নিয়ে যারা রাজনীতি করে তারা আপের আন্দোলনে ভয় পেয়ে হামলা করাচ্ছে।” বিজেপি মুখপাত্র বিজয় গয়ালের পাল্টা বক্তব্য, “আপ মুখে এক বলে আর কাজ করে অন্য রকম। তাই মানুষ তাদের বিরোধী হয়ে উঠছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy