শুভেচ্ছা বিনিময়। নয়াদিল্লিতে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের সঙ্গে মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি। ছবি: রয়টার্স।
মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের আড়িপাতা নিয়ে কড়া বার্তা দিল ভারত। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদার করার জন্যও সওয়াল শুরু করেছে নয়াদিল্লি।
আজ ভারত-মার্কিন পঞ্চম কৌশলগত আলোচনার শেষে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ এবং মার্কিন বিদেশসচিব জন কেরি। সুষমা জানিয়েছেন, প্রতিরক্ষা, বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবেশ, পরিকাঠামো এবং শিল্পে মার্কিন বিনিয়োগের প্রশ্নে তাঁর সরকার আগ্রহী। আবার ভারতের রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিজেপি-র উপর মার্কিন গোয়েন্দাদের আড়িপাতার বিষয়টিতে যে ভারত ক্ষুব্ধ সে কথাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন সুষমা।
কেরিকে পাশে রেখে সুষমা বলেন, “আড়িপাতার বিষয়টি বৈঠকে তোলা হয়েছে। আমি কেরিকে জানিয়েছি, ভারতের মানুষ এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। দু’টি মিত্র দেশ কখনও একে অপরের উপরে আড়ি পাততে পারে না।’ বিষয়টি নিয়ে কিছুটা রক্ষণাত্মক ছিলেন কেরি। তাঁর কথায়, “আমরা প্রকাশ্যে গোয়েন্দা তথ্য নিয়ে আলোচনা করি না। কিন্তু এটা ঠিকই যে আমরা ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে যথেষ্ট গুরুত্ব দিই।”
সন্ত্রাস প্রশ্নেও আজ কড়া অবস্থান নিয়েছে ভারত ও আমেরিকা। এক যৌথ বিবৃতিতে দু’দেশ জানিয়েছে, মুম্বই হামলার পাণ্ডাদের শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে পাকিস্তানকে। লস্কর প্রধান হাফিজ সইদকে ওই হামলার অন্যতম মূল চক্রী বলে মনে করে ভারত। আমেরিকার জঙ্গি তালিকাতেও উপরের দিকেই রয়েছে তাঁর নাম। লস্কর ও আল-কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠনকে রুখতে হাত মিলিয়ে কাজ করা হবে বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন।
ভারতের বাজারে আরও ব্যাপক ভাবে প্রবেশ করতে যে মার্কিন সংস্থাগুলি আগ্রহী সে কথা গোপন করেননি কেরি। মোদী সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদেশি লগ্নির সীমা বাড়ানোয় যে আমেরিকা খুশি তাও জানিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব। তাঁর কথায়, “প্রত্যক্ষ বিদেশি লগ্নি নিয়ে মোদী যে নয়া অভিমুখ তৈরি করেছেন তাতে পুরোপুরি সমর্থন করছে আমেরিকা।” কেরি জানিয়েছেন, তথ্য ও প্রযুক্তি, পরিকাঠামো, আধুনিক প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সমস্ত বাধা দূর করা হবে বলে আশা মার্কিন বিনিয়োগকারীদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy