বহিষ্কৃত নেতা যশোবন্ত সিংহকে দলে ফিরিয়ে আনতে চান লালকৃষ্ণ আডবাণী। কিন্তু এখন তা কি সম্ভব?
আজ সকালে আডবাণীর সঙ্গে দেখা করতে আসেন যশোবন্ত। দুই নেতার মধ্যে প্রায় ঘণ্টাখানেক বৈঠক হয়। সেই থেকেই জল্পনার সূত্রপাত। দু’জনের ঘনিষ্ঠতা এতটাই যে যশোবন্ত আডবাণীকে ‘লাল’ বলে ডাকেন। বর্তমানে বিজেপিতে যে পালাবদলের পালা শুরু হয়েছে, তাতে আডবাণীও চাইছেন গুরুত্বপূর্ণ নানা পদে পছন্দের লোক বসিয়ে দলে নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে। এই পরিস্থিতিতে আজ যশোবন্তের সঙ্গে আডবাণীর বৈঠকের পরে রাজস্থানের ওই নেতার দলে ফেরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। যদিও যশোবন্তের ঘনিষ্ঠরা বিষয়টি স্বীকার করেননি। আজকের বৈঠককে নিছক সৌজন্য বলেই দাবি করা হয়েছে।
আজকের বৈঠকের পর যশোবন্তকে দলে ফিরিয়ে আনা নিয়ে আডবাণী সক্রিয় হতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এর আগে জিন্না বিতর্কে যশোবন্তকে দল থেকে বহিষ্কার করা হলে তার বিরোধিতা করেছিলেন আডবাণী। নিতিন গডকড়ী দলের সভাপতি হয়ে আডবাণীর ইচ্ছেয় যশোবন্তকে দলে ফিরিয়ে আনেন। কিন্তু পরে নির্বাচনের আগে দল-বিরোধী কাজের জন্য তাঁকে ফের বহিষ্কার করা হয়। যদিও বিজেপিতে যশোবন্তের ফিরে আসা দলের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে। সঙ্ঘের সবুজ সংকেতও প্রয়োজন। বর্তমান সভাপতি রাজনাথ সিংহ যদি মন্ত্রী হন তা হলে পরবর্তী সভাপতি হিসাবে দলের মধ্যে জে পি নাড্ডার নাম উঠে আসছে। তিনি সকলকে নিয়ে চলার পক্ষপাতী। আবার গডকড়ী শেষ পর্যন্ত মন্ত্রী না হলে সঙ্ঘ-প্রধান মোহন ভাগবত চাইবেন তাঁকেই সভাপতি করতে। দলের একাংশ মনে করছে, গডকড়ী সভাপতি হলে যশোবন্তের ফিরে আসাটা সহজ হবে। কেন না এর আগে তাঁর আমলেই দলে ফিরেছিলেন যশোবন্ত। কিন্তু মোদী শিবিরের একাংশ চাইছে অমিত শাহকে সভাপতি করতে। যদিও তাতে সঙ্ঘ পরিবার রাজি নয়। এই পরিস্থিতিতে অবশ্যই নরেন্দ্র মোদীর মতটিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
তবে যশোবন্তকে ফেরানোর বিষয়ে মোদীর অনুমোদন পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কেন না লোকসভা নির্বাচনে টিকিট না পেয়ে মোদীর সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন যশোবন্ত। নিজে নির্দল প্রার্থী হয়ে যান। এর পরেই যশোবন্তকে বহিষ্কার করেন বিজেপি নেতৃত্ব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy