অগস্ত্যকোদম।—ফাইল চিত্র।
শবরীমালার পর এ বার অগস্ত্যকোদম। কেরলের দ্বিতীয় উচ্চতম শৃঙ্গ আর মেয়েদের কাছে অধরা থাকছে না। লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ওই দক্ষিণী রাজ্যের মেয়েরা আরও এক বার জয়ী হলেন।
অগস্ত্যকোদম পর্বতে কানি জনজাতির পূজ্য অগস্ত্য মুনির বিগ্রহ রয়েছে। প্রথা অনুসারে, সেখানে যেতে পারতেন না মেয়েরা। নভেম্বরে কেরল হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতে বন দফতর মেয়েদের পর্বতারোহণের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে। জানুয়ারি-মার্চ, এই তিন মাস পর্বতারোহণের মরসুম। ওই সময়ে মেয়েদেরও অগস্ত্যকোদম পর্বতারোহণের অনুমতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় মালাপ্পুরম ও কোঝিকোড়ের দু’টি মহিলা সংগঠন। হাইকোর্ট রায় দেয়, লিঙ্গের ভিত্তিতে পর্বতারোহীদের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপানো যাবে না। সেই নির্দেশ এ বার কার্যকর করল বন দফতর।
অগস্ত্যকোদমের উচ্চতা ১৮৬৮ মিটার। এত দিন অথিরামালা অর্থাৎ বেসক্যাম্প পর্যন্ত সীমাবদ্ধ ছিল মেয়েদের যাত্রা। তিরুঅনন্তপুরম জেলার নেয়ার অভয়ারণ্য এলাকার মধ্যে পড়ে অগস্ত্য পর্বত। সে কারণে পর্বত শৃঙ্গে মন্দির বানাতে পারেননি কানিরা। শুধু একটি মূর্তি রয়েছে অগস্ত্যের। ইউনেস্কোর হেরিটেজ সাইট হওয়ায় সেখানে পুজো করা যায় না। আদালত জানায়, ট্রেকিংয়ের অনুমতি পেলেও, মূর্তির কাছে যেতে পারবেন না পর্বতারোহীরা।
শনিবার থেকে অনলাইনে পর্বতারোহণের জন্য আবেদন জমা নেওয়া শুরু হয়েছে। বছরে এক বার ওই রাস্তা খোলা হয় ট্রেকিংয়ের জন্য। ২৬ কিলোমিটার খাড়া পথ পেরোতে সময় লাগে দু-তিন দিন। বন দফতর জানায়, বিপদসঙ্কুল ওই পথে ট্রেংকিংয়ের জন্য মেয়েদের বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া হবে না।
‘অগস্ত্যকোদাম ক্ষেত্র কানিক্কর ট্রাস্ট’ হাইকোর্টের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হলেও আদালতের রায় তারা মেনে চলবে। ট্রাস্টের এক প্রতিনিধির কথায়, ‘‘বছরের পর বছর কানি সম্প্রদায়ের পুরুষেরাই শৃঙ্গে উঠেছে। আমাদের প্রথা মেনে মেয়েরা কখনওই সে পথে যায়নি। কিন্তু হাইকোর্টের রায় মেনে চলব।’’ বন দফতর জানিয়েছে, ১৪ বছরের ঊর্ধ্বে মানসিক ও শারীরিক ভাবে সুস্থ মেয়েরা পর্বতারোহণের আবেদন জানাতে পারেন। বনমন্ত্রী কে রাজু জানান, মহিলাদের স্বাগত কিন্তু সরকার তাঁদের বিশেষ সুবিধা দিতে পারবে না। বেসক্যাম্পে শৌচালয়ের মতো নামমাত্র কিছু পরিষেবা আছে।
প্রত্যেকের জন্য একই ব্যবস্থা।
সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy