পুলিশের হাতে ধৃত শ্বেতার প্রেমিক সুমিত ও তার সহযোগী সোনু। ছবি: টুইটার থেকে সংগৃহীত।
প্রেমিকের সঙ্গে মিলে খুন স্বামীকে। জামশেদপুরে পুলিশের হাতে গ্রেফতার মহিলা। গ্রেফতার করা হয়েছে তার প্রেমিক এবং প্রেমিকের এক শাগরেদকেও। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পরকীয়া নিয়ে নিত্য ঝামেলা লেগে থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। ঝগড়াঝাটি হত স্বামীর মদ্যপানের অভ্যাস নিয়েও। পুলিশের অভিযোগ, তার জেরেই প্রেমিক ও তার শাগরেদকে ডেকে স্বামীকে খুন করায় ওই মহিলা।
নিহত ওই ব্যক্তিকে তপন দাস বলে শনাক্ত করা গিয়েছে। জমি কেনাবেচার দালালি করতেন তিনি। গত ১২ ডিসেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার রাতে বরাবাঁকি এলাকা থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
জামশেদপুরের এসএসপি অনুপ বিরথারে জানান, তদন্তে নেমে দু’দিনের মধ্যেই খুনের কিনারা করে ফেলেন ডিএসপি অনুদীপ সিংহ ও তাঁর দল। গ্রেফতার করা হয় তপন দাসের স্ত্রী শ্বেতা দাস ও তাঁর প্রেমিক সুমিত সিংহকে। সুমিতের সহযোগী সোনু লালকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। অপরাধ স্বীকার করেছে সকলে। জেরায় জানিয়েছে, খুন করে তপন দাসের দেহ প্রথমে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিল তারা।
আরও পড়ুন: ‘#টেনইয়ারচ্যালেঞ্জ’ নিছক নির্দোষ খেলা না পিছনে রয়েছে গভীর ষড়যন্ত্র? বিশ্বজুড়ে বাড়ছে সংশয়
আরও পড়ুন: বাথরুমে ঢুকেই আঁতকে উঠলেন! কমোডে অজগর
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে তপন ও শ্বেতা দাসের। কিন্তু অত্যধিক মদ্যপানের অভ্যাস ছিল তপনের। সেই নিয়ে নিত্য ঝামেলা লেগে থাকত স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে। মাস তিনেক আগে ফেসবুকে সুমিত সিংহের সঙ্গে আলাপ শ্বেতার। অল্পদিনের মধ্যে একে অন্যের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেতারা। তার মধ্যে গত ১২ জানুয়ারি মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরেন তপন। সেই নিয়ে ঝামেলা শুরু হলে ফোন করে সুমিতকে ফ্ল্যাটে ডেকে পাঠায় শ্বেতা। শাগরেদ সোনুকে নিয়ে হাজির হয় সে। তিনজনে মিলে শ্বাসরোধ করে তপনবাবুকে খুন করে।
খুনের পর বাড়িতে ফ্রিজের মধ্যে মৃতদেহ ভরে রাখে তারা। ১৩ জানুয়ারি অটো ভাড়া করে ফ্রিজ সমেত দেহ বরাবাঁকির জঙ্গলে ফেলে আসে। তার পর তিনজনে মিলে নতুন করে ছক কষে। সন্দেহ এড়াতে ১৫ জানুয়ারি টেলকো থানায় হাজির হয় শ্বেতা। স্বামী নিখোঁজ বলে ডায়েরি করে। তাতে সে জানায়, ১২ জানুয়ারি মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরেছিলেন তপনবাবু। আলমারি খুলে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে ফের বেরিয়ে যান। তার পর থেকে আর হদিশ নেই তাঁর।
কিন্তু আবাসনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে বিষয়টা পরিষ্কার হয়ে যায় পুলিশের কাছে। ১২ জানুয়ারি শ্বেতার ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেখা যায় সুমিত এবং তার শাগরেদকে। ১৩ জানুয়ারি ফ্ল্যাট থেকে বেরোয় তারা। মোবাইল ফোনের রেকর্ড ঘেঁটেও দেখা যায়, তিনজনের মধ্যে লাগাতার কথা হত। পুলিশের দাবি,চেপে ধরতেই অপরাধ কবুল করে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy