রবিশঙ্কর প্রসাদ ও রাহুল গাঁধী।—ফাইল চিত্র।
সামনেই নির্বাচন রাজস্থানে। তার আগে ব্যক্তিগত কাদা ছোড়াছুড়ি শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। দিন কয়েক আগে ভোটের তরজায় খামোখা নরেন্দ্র মোদীর মাকে টেনে এনেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাজ বব্বর। সেইসময় তার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু এ বার তাঁর মন্ত্রীই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধীর পরিবারকে রাজনীতির ময়দানে টেনে আনলেন। কটাক্ষ করে বললেন, গাঁধী পদবীর জন্যই এত বাড়বাড়ন্ত রাহুলের। ওটা না থাকলে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে হত ওঁকে। জেলাস্তরের সভাপতিও হতে পারতেন না।
বৃহস্পতিবার একটি বেসরকারি চ্যানেলের নির্বাচনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সেখানেই তাঁর মন্তব্য: ‘‘এত পুরনো একটা দল কংগ্রেস। তাদের সর্বভারতীয় সভাপতি কিনা রাহুল গাঁধী! একদা যে পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন জওহরলাল নেহরু এবং সর্দার পটেলের মতো ব্যক্তিত্ব। দলকে কোন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। তবে একটা ব্যাপারে আমি নিশ্চিত, গাঁধী পরিবারে না জন্মালে ওই পদে বসা তো দূর, দলের জেলাস্তরের নেতাও হতে পারতেন না রাহুল।’’
রাহুল গাঁধীর গোত্র নিয়ে সম্প্রতি যে বিবাদের সৃষ্টি হয়েছিল, তা নিয়েও কটাক্ষ করেন রবিশঙ্কর প্রসাদ। বলেন, ‘‘রাজস্থানে উনি কুলীন ব্রাহ্মণ আবার গুজরাতে শিবভক্ত। ভারতে ধর্মীয় স্বাধীনতা রয়েছে সকলের। রাজনৈতিক নেতারা যে কোনও ধর্মে বিশ্বাসী হতেই পারেন। ইন্দিরা গাঁধী, রাজীব গাঁধী অথবা জওহরলাল নেহরুর মতো নেতাদের কখনও তা নিয়ে বড়াই করতে শুনেছেন?হাতের সামনে কিছু পাচ্ছে না তাই এখন ধর্ম, গোত্র নিয়ে পড়েছে কংগ্রেস। তাদের এই আচরণের সমালোচনা করতে বাধ্য হচ্ছি আমরা।’’
আরও পড়ুন: দাউদ, হাফিজদের দায় নিতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী ইমরান
আরও পড়ুন: ডিএ-র আঁচ এবার নবান্নে, ভিতরে-বাইরে বিক্ষোভ কো-অর্ডিনেশন কমিটির
কংগ্রেসের পক্ষে কখনও পরিবারতন্ত্রের আগল ছেড়ে বেরনো সম্ভব নয় বলেও দাবি করেন তিনি। গাঁধী পরিবারের পাঁচ পুরুষকে মানুষ চেনেন, কিন্তু মোদীর বাবার নামও কেউ জানেন না বলে সম্প্রতি বিতর্ক বাঁধিয়েছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিলাস মুত্তেমওয়ার। সেই প্রসঙ্গ টেনে রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব সকলের কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy