রাহুল গাঁধী। —ফাইল চিত্র
দলের হাল কার হাতে থাকবে, তা স্পষ্ট নয়। এ দিকে বিজেপিকে নিশানা করা যায়, এমন হাতিয়ার একের পর এক হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। দলের সভাপতি পদে তিনি থাকবেন না বলে রাহুল গাঁধী ফের জানিয়ে দেওয়ার পর কার্যত বিভ্রান্ত কংগ্রেসের অন্দরমহল।
কংগ্রেস নেতারা মনে করছেন, রাহুল গাঁধী যদি সত্যিই আর কংগ্রেস সভাপতি পদে থাকতে না-চান, তা হলে নতুন সভাপতির বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু কী ভাবে এবং কবে নতুন সভাপতির নাম ঠিক হবে, তার সবটাই ধোঁয়াশায় ঢাকা। কংগ্রেস কর্মসমিতির এক সদস্য বলেন, ‘‘রাহুল কর্মসমিতির কাছে পদত্যাগের কথা জানালেও, কমিটি তা খারিজ করে দিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, রাহুলই দলের সভাপতি থাকবেন। কর্মসমিতির সিদ্ধান্ত সভাপতিও মানতে বাধ্য। এখন রাহুল যদি সত্যিই অনিচ্ছুক হন, তবে ফের কর্মসমিতির বৈঠক ডেকে তাঁকে অব্যাহতি দিতে হবে। তার আগে নতুন সভাপতি কে হবেন, তা নিয়েও আলোচনা সেরে ফেলতে হবে।’’
কংগ্রেস নেতারা দেখছেন, বিহারে এনসেফেলাইটিসে মৃত্যু, বিজেপির তেলুগু দেশম থেকে সাংসদদের ভাঙিয়ে নেওয়ার মতো বিষয় হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে। নেতৃত্ব নিয়ে বিভ্রান্ত কংগ্রেস কোমর বেঁধে নামতেই পারছে না। এরই মধ্যে আজ যোগ দিবসে সেনা জওয়ানদের সঙ্গে সেনার প্রশিক্ষিত সারমেয়-বাহিনীর যোগাসনের ছবিকে ‘নতুন ভারত’ বলে টুইট করে বিজেপির সমালোচনার মুখে পড়েছেন রাহুল। সেনাকে অপমান করা ও নেতিবাচক মনোভাবের জন্য রাহুলের সমালোচনা করেছেন অমিত শাহ, রাজনাথ সিংহ। অমিত শাহ কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘‘ইতিবাচক মনোভাব দিয়েই কঠিন চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা যায়।’’ আর রাজনাথের মন্তব্য, ‘‘ভগবান সুবুদ্ধি দিন।’’
গত কাল সংসদে রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার সময় মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এতে রাষ্ট্রপতিকে অসম্মান করার অভিযোগের মুখে পড়েছিলেন। রাষ্ট্রপতির কঠিন হিন্দি বুঝতে মোবাইলের সাহায্য নিচ্ছিলেন বলে ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা বলেও বিতর্ক থামেনি। কংগ্রেসের একাংশ নেতাদের ক্ষোভ, জরুরি বিষয়ে দল মাঠে নামছে না। অথচ রাহুলের জন্য বিজেপি অকারণে হাতিয়ার পেয়ে যাচ্ছে। এর জন্য ‘টিম রাহুল’-কেই দুষছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতারা।
রাহুল গত কাল ফের জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি সভাপতি পদে থাকবেন না। নতুন সভাপতি বাছাইয়ের প্রক্রিয়ায় নাকও গলাবেন না। মুশকিল হল, রাহুল ছাড়া অন্য কেউ সভাপতি হলে সকলে প্রশ্নাতীত ভাবে তাঁকে মেনে নেবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। সূত্রের খবর, আহমেদ পটেল, এ কে অ্যান্টনির মতো নেতারা এখনও মনে করছেন, সঙ্কটের এই সময়ে গাঁধী পরিবারের হাতেই এই দলের ব্যাটন থাকা উচিত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy