অলোক বর্মা ও রাকেশ আস্থানা।
অতঃ কিম?
অলোক বর্মাকে সিবিআইয়ের অধিকর্তা হিসেবে সুপ্রিম কোর্ট পুনর্বহাল করলেও তাঁর উত্তরসূরি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেল। বর্মার পরে বিশেষ অধিকর্তা রাকেশ আস্থানাকেই সিবিআইয়ের শীর্ষপদে বসানোর পরিকল্পনা ছিল মোদী সরকারের। কিন্তু এখন গুজরাত ক্যাডারের আস্থানাকে আর ডিরেক্টর করা সম্ভব হবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
ওই পদের দাবিদার হিসেবে বিএসএফ-এর ডিজি রজনীকান্ত মিশ্র, এনআইএ-র ডিজি যোগেশ চন্দ্র মোদীর নাম রয়েছে। দৌড়ে রয়েছেন সিআইএসএফ-এর ডিজি রাজেশ রঞ্জনও। তবে শেষবেলায় মোদী সরকার ঝোলা থেকে চমক হিসেবে অন্য কাউকে বের করে আনতে পারেন বলে জল্পনা চলছে।
সেই হিসেবে মহিলা আইপিএস রীণা মিত্রের নাম রয়েছে। তিনি এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে বিশেষ সচিব (অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা)। রীণা ওই পদে এলে তিনিই
হবেন প্রথম মহিলা সিবিআই অধিকর্তা। র’-এর বিশেষ সচিব বিবেক জোহরি, এনএসজি প্রধান সুদীপ লাখটাকিয়া এবং আইটিবিপি প্রধান এস এস দেওয়ার নামও রয়েছে তালিকায়।
আপাতত পুনর্বহাল করা হলেও বর্মা ৩১ জানুয়ারিই অবসর নেবেন। তার আগেই তাঁর ভবিষ্যৎ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তিন সদস্যের বাছাই কমিটি। সিবিআই অধিকর্তা বাছাইয়ের জন্য যে
কমিটিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী, প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে। সরকারি সূত্রের দাবি, বর্মার সব ক্ষমতা ফিরিয়ে দেওয়া বা তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাঁকে অবসরের আগেই সরিয়ে দেওয়া, যে কোনও সিদ্ধান্তই ওই কমিটি নিতে পারে।
বর্মার ভবিষ্যৎ এবং উত্তরসূরি নিয়ে চলতি মাসের মধ্যেই সিদ্ধান্ত না হলে সিবিআই অধিকর্তার পদ ফাঁকা পড়ে থাকার আশঙ্কা। নিয়ম অনুযায়ী, সিবিআই অধিকর্তা
বাছাইয়ের কাজ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে শুরু হয়। মন্ত্রক ওই পদে যোগ্য আইপিএস অফিসারদের তালিকা তৈরি করে কর্মিবর্গ দফতরে পাঠায়। তারা তালিকা চূড়ান্ত করে প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি এবং বিরোধী দলনেতার নিয়োগ কমিটিতে পাঠায়। কমিটি বাছাই করে সরকারকে নাম সুপারিশ করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy