হায়দরাবাদে নিজের বাড়িতে ঢোকার আগে মুখ খুলেছেন অল্লু অর্জুন। ছবি: পিটিআই।
শুক্রবার রাতে তাঁকে জেলে থাকতে হয়েছে। হায়দরাবাদে ‘পুষ্পা ২’-এর প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মহিলার মৃত্যুর ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। হাই কোর্ট অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করার পর শনিবার সকালে জেল থেকে বেরিয়েছেন তেলুগু সুপারস্টার অল্লু অর্জুন। জুবিলি হিল্সে নিজের বাড়িতে ঢোকার আগে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন অভিনেতা। হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলেন তিনি। সেই সঙ্গে এ-ও জানালেন, সন্ধ্যা থিয়েটারে গত ৪ ডিসেম্বর রাতে যে ঘটনা ঘটেছিল, তাতে তাঁর হাত ছিল না।
বাড়ির দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে অল্লু বলেন, ‘‘আমি ভাল আছি। চিন্তার কোনও কারণ নেই। সকলকে অনেক ধন্যবাদ। আমি একজন নাগরিক, আইন মেনে চলি। আইনকে সম্মান করি। আইনি প্রক্রিয়ার সঙ্গে আমি সহযোগিতা করব। তার জন্য যা করতে হবে করব।’’
‘পুষ্পা ২’ দেখতে গিয়ে প্রেক্ষাগৃহে মৃত্যু হয়েছে মহিলার। তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘‘আমি আরও একবার মৃতের পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা সকলে একটা ছবি দেখতে গিয়েছিলাম। সেখানে দুর্ঘটনায় এক জন মারা যান। এটা খুব খুব দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। মৃতের পরিবারের পাশে থাকব আমি। প্রাণহানির কোনও ক্ষতিপূরণ হয় না। তবে যেটুকু করা যায়, আমি করব।’’
গ্রেফতারি প্রসঙ্গে পর্দার ‘পুষ্পা’ বলেন, ‘‘এটা দুর্ঘটনা, সম্পূর্ণ অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা। এর নেপথ্যে কারও হাত নেই। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আমরা এক জনকে হারিয়েছি। যা হয়েছে, তার জন্য আমি খুব দুঃখিত। কিন্তু এতে আমার হাত ছিল না। ঘটনাটি আমার ব্যক্তিগত নিয়ন্ত্রণের বাইরে। গত ২০ বছর ধরে আমি আমার ছবি এ ভাবেই দেখতে যাই। ওই প্রেক্ষাগৃহেও এর আগে আমি অন্তত ৩০ বার গিয়েছি। কখনও এমন কিছু ঘটেনি।’’
শুক্রবার সকালে গ্রেফতারি থেকে শনিবার সকালে বাড়ি ফেরা— গোটা পর্বে ‘শান্ত’ থেকেছেন অল্লু। ‘পুষ্পা’র যে মেজাজ, যে ঝাঁজ পর্দায় দেখা গিয়েছে, অল্লু তার ধারেকাছেও যাননি। একবারের জন্যেও তিনি মেজাজ হারাননি। শুক্রবার বাড়ি থেকে যখন তাঁকে পুলিশ বার করে আনে, স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরেছিলেন অভিনেতা। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে বেরিয়েছিলেন। মুখে লেগে ছিল স্মিত হাসি। ভক্তদের উদ্দেশে হাতও নেড়েছেন বার বার। শনিবার বাড়ি ফেরার সময়েও একই ভাবে হাসতে দেখা গেল ‘পুষ্পা’কে।
গ্রেফতারির পর অল্লুকে নিম্ন আদালতে হাজির করিয়েছিল পুলিশ। সেখান থেকে তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়। পরে তেলঙ্গানা হাই কোর্ট শুক্রবারই ৫০ হাজার টাকার বন্ডে চার সপ্তাহের জন্য তাঁর অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে। হাই কোর্টের নির্দেশ এলেও রাতে আইনি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করা যায়নি। তাই জেলেই রাত কাটাতে হয়েছে অভিনেতাকে। শনিবার সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ জেলের পিছনের দিকের দরজা দিয়ে তাঁকে বার করা হয়। জেল থেকে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যেতে এসেছিলেন বাবা এবং শ্বশুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy