শপিং মলের কাপড় বিক্রির এক দোকানে কাজ করেন ২২ বছরের এক তরুণী। ম্যানেজার-সহ সেই দোকানে মোট ছ’জন কর্মী ছিলেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে তিন জন কর্মীকে ছাঁটাই করে দিয়েছেন দোকানের ম্যানেজার। বর্তমানে ম্যানেজার এবং সেই তরুণী কর্মী ছাড়া দোকানে আরও এক জন কাজ করেন। তবে তাঁর চাকরি পাকা নয়। নির্দিষ্ট কিছু সময়ে (পার্টটাইম) দোকানে কাজ করতে আসেন তিনি। সপ্তাহে এক দিন ছুটি পান সেই তরুণী। সেই ছুটির দিনেও কাজ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তাঁর বস্। বসের কথা অমান্য করায় ‘শাস্তি’ও পেতে হয় তরুণীকে। সমাজমাধ্যমে সেই ঘটনা উল্লেখ করেছেন তিনি (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
আরও পড়ুন:
‘আর/অ্যান্টিওয়ার্ক’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে যে, ২২ বছরের এক তরুণী তাঁর ছুটির দিনে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় তাঁর বস্ খারাপ আচরণ করছেন। শপিং মলের কাপড়ের দোকানে কাজ করেন সেই তরুণী। প্রতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার ছুটি থাকে তাঁর। সপ্তাহের একটি মাত্র ছুটির দিনে হাজার কাজ থাকে তরুণীর। তরুণী জানান, ঘরের সমস্ত কাজ সারতে হয় তাঁকে। তা ছাড়া সে দিন চিকিৎসকের কাছেও যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। ঘরের কাজ এগিয়ে তিনি সবেমাত্র বিশ্রাম নিতে যাবেন, ঠিক তখনই তাঁর বস্ তাঁকে দোকানে যাওয়ার নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার সময় বস্ মেসেজ করে লেখেন, ‘‘তাড়াতাড়ি দোকানে আসো। আমি একা রয়েছি। কাজের খুব চাপ রয়েছে। আমি একা সামলাতে পারছি না।’’
আরও পড়ুন:
তরুণী তাঁর উত্তরে লেখেন, ‘‘আমি ক্ষমা চাইছি। কিন্তু আমার তো নিজের কিছু কাজ রয়েছে। আগে থেকে জানলে আমি চলে যেতাম। আমি এত কাজ সামলে কোনও ভাবেই দোকানে যেতে পারব না।’’ তরুণীর দাবি, তাঁর মেসেজ দেখার পর কোনও জবাব দেননি তাঁর বস্। পরে ইনস্টাগ্রামে তাঁর বস্ পোস্ট করে লেখেন, ‘‘কিছু মানুষ স্বার্থপরের মতো শুধু নিজেদের কথাই ভাবেন।’’ এই পোস্টটি তরুণীর উদ্দেশে লেখা হয়েছে বলে তাঁর ধারণা। পরের দিন দোকানে গেলে সেই তরুণী কর্মীর প্রতি রাগে ফেটে পড়েন তাঁর বস্। তিনি তরুণীকে বলেন, ‘‘একসঙ্গে এ ভাবে কাজ করা যায় না। কঠিন সময়ে ঝাঁপিয়ে না পড়লে মিলেমিশে কাজ করার কোনও মানে নেই।’’
My manager said I "Wasn't a team player" for not coming in on my day off after they fired half our team
byu/AliceWillxo inantiwork
তার পর থেকেই তরুণীর সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দেন তিনি। তরুণী কর্মীর দাবি, ম্যানেজার ছাড়া সেই দোকানে আরও পাঁচ জন কাজ করতেন। কিন্তু তাঁদের মধ্যে তিন জন কর্মীকে ছাঁটাই করে দেওয়া হয়েছে। সেই তরুণী কর্মী ছাড়া দোকানে আরও এক জন কাজ করেন। তবে তাঁর চাকরি পাকা নয়। নির্দিষ্ট কিছু সময়ে (পার্টটাইম) দোকানে কাজ করতে আসেন তিনি। তরুণীর দাবি, ঘণ্টাপ্রতি ১৫ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১২৮০ টাকা) পারিশ্রমিক পান তিনি। অতিরিক্ত সময় কাজ করার জন্য বাড়তি সুবিধা পান না তরুণী। তাই বসের এমন অন্যায় দাবিও মেনে নিতে রাজি নন তিনি। তরুণীর এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। এক জন লিখেছেন, ‘‘কম লোককে দিয়ে বেশি কাজ করানো এখন একটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আপনি ছুটির দিনে না গিয়ে একদম ঠিক কাজ করেছেন।’’