—ফাইল চিত্র।
দীর্ঘ নীরবতার পর মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তথাকথিত ‘গোরক্ষক’দের নির্বিচার গুন্ডামির অজস্র নিদর্শনের পরেও প্রায় সব বিষয়েই মুখ-খোলা প্রধানমন্ত্রী এই প্রসঙ্গেই কিছু বলছেন না কেন, এই আলোচনাও যখন ক্লান্ত হয়ে এসেছে, তখন মুখ খুললেন তিনি। সন্দেহ নেই, অত্যন্ত স্পষ্ট ও কড়া বার্তা দিয়েছেন এই ‘রক্ষকদের’ উদ্দেশে। দেরিতে হলেও, তাই স্বাগত প্রধানমন্ত্রীর এই কঠোর বার্তা।
তবে এ নিয়েও কোনও সংশয় থাকার কথা নয়, রাষ্ট্রের তরফে সুচিন্তিত এই দিকনির্দেশের অভাবের মাসুল দিতে হয়েছে দেশকে। গত কয়েক মাস ধরে অনেক রক্ত, অনেক হেনস্থা, অনেক অত্যাচার, অনেক আতঙ্ক, অনেক অপমান এবং অনেক প্রতিবাদের পর রাষ্ট্র তথা সরকার তথা শাসক যে গোরক্ষদের ‘সমাজবিরোধী’ হিসাবে এখন চিহ্নিত করতে পারল, তার জন্য নরেন্দ্র মোদী যতটা ধন্যবাদার্হ হন, তার চেয়ে অনেক বেশি ধন্যবাদ প্রাপ্য হয় এই দেশের আম আদমির। এই দেশের গণতন্ত্রের মূল ইউনিট।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে সহিষ্ণুতা ও সংবেদনশীলতার অভাব নিয়ে সাম্প্রতিক সতর্কতা ভারতের জন্য অসম্মানজনক। তবু এই পরিস্থিতিকে এড়াতে পারিনি আমরা। এড়ানোর লক্ষ্যে নির্দিষ্ট ব্যবস্থাও বা হয়েছিল কোথায়? হল তখনই, যখন উত্তরপ্রদেশে-গুজরাতে-পঞ্জাবে আসন্ন নির্বাচনের উপর আঁচের সম্ভাবনা দেখা দিল। মুসলিম এবং দলিতদের উপর ‘গোরক্ষা’-র যে আঁচ গিয়ে লাগছিল, তা যে পাল্টা ঘুরে বিজেপি-র ভোট-সম্ভাবনায় আগুন লাগিয়ে দিতে পারে, শাসক শিবির সম্ভবত প্রথমে বুঝে উঠতে পারেনি। বুঝল পরে, এতদিনে।
প্রধানমন্ত্রী অতএব মুখ খুললেন। প্রধানমন্ত্রী কঠোর বার্তা দিলেন।
আমরা কুর্নিশ করলাম আম আদমিকে। এই দেশের গণতন্ত্রকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy