Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

স্বচ্ছতা শহিদের সম্মান হত চালককে

প্রকাশ্যে মূত্রত্যাগের প্রতিবাদ করে খুন হওয়া রবীন্দ্র কুমারকে নরেন্দ্র মোদীর ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের প্রচারক বলেলেন বেঙ্কাইয়া নায়ডু। আজ রবীন্দ্রর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী।

দিল্লির কিশোর মার্কেট এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত

দিল্লির কিশোর মার্কেট এলাকার বাসিন্দা রবীন্দ্র। ছবি: সংগৃহীত

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৭ ০৪:২৩
Share: Save:

প্রকাশ্যে মূত্রত্যাগের প্রতিবাদ করে খুন হওয়া রবীন্দ্র কুমারকে নরেন্দ্র মোদীর ‘স্বচ্ছ ভারত’ অভিযানের প্রচারক বলেলেন বেঙ্কাইয়া নায়ডু। আজ রবীন্দ্রর পরিবারের সঙ্গে দেখা করে ৫০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী। দিল্লি সরকারের তরফেও নিহতের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আজ দিল্লির পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছেন বেঙ্কাইয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও এই ঘটনার কড়া নিন্দা করে নিহতের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

শনিবার উত্তর দিল্লির মুখার্জী নগরে দুই যুবককে রাস্তার উপর প্রস্রাব করায় বাধা দিয়েছিলেন ই-রিকশাচালক রবীন্দ্র কুমার। সেই মুহূর্তে শুধু হুমকি দিয়ে ফিরে গেলেও পরে দলবল নিয়ে এসে রবীন্দ্রকে রড দিয়ে পেটায় তারা। পাথর ভরা তোয়ালে দিয়ে মাথায় মারে। অভিযোগ, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ জনবহুল মেট্রো স্টেশনের কাছে এই ঘটনা ঘটলেও বরীন্দ্রকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি কেউ। সে দিন রাতেই মারা যান রবীন্দ্র।

ঘটনায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেছে পুলিশ। পুলিশ মনে করছে, রবীন্দ্রর উপর হামলা চালায় ১২-১৩ জনের একটি দল। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুই কলেজ পড়ুয়াকে ধরেছে পুলিশ। অনুমান, এই দু’জনই হস্টেল থেকে দলবল নিয়ে গিয়ে বরীন্দ্রকে মারধর করে। নিহতের দাদা জানিয়েছেন, শনিবার রাতে রবীন্দ্র অজ্ঞান হয়ে গেলে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

আজ সকালে টুইটারে বেঙ্কাইয়া লিখেছেন, ‘‘প্রকাশ্যে মূত্রত্যাগে বাধা দেওয়ায় এক ই-রিকশাচালককে পিটিয়ে মারা হয়েছে। অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। উনি স্বচ্ছ ভারত অভিযানের প্রচার করছিলেন।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE