Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

কর্ম খালি, তাই আসন শূন্য ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে

চাকরি নেই! তাই দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে অর্ধেকের বেশি আসন খালি। আর ওই প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে বলে লোকসভায় স্বীকার করে নিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সত্যপাল সিংহ।

কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সত্যপাল সিংহ।

কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সত্যপাল সিংহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৮ ০৩:৫২
Share: Save:

চাকরি নেই! তাই দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে অর্ধেকের বেশি আসন খালি। আর ওই প্রবণতা ক্রমশ বাড়ছে বলে লোকসভায় স্বীকার করে নিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সত্যপাল সিংহ।

গত এক দশক ধরে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে মন্দার দশা। মন্ত্রক জানিয়েছে, ফি বছর গড়ে ৪০০-৫০০টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তাদের কাছে আবেদন জমা পড়ছে। গত অর্থবর্ষে ‘অল ইন্ডিয়া কাউন্সিল ফর টেকনিক্যাল এডুকেশন’ (এআইসিটিই)-র কাছে ২৩৯টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ বন্ধ করার আবেদন জমা পড়েছিল। ৫১টির আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।

কেন ওই অবস্থা, সে প্রসঙ্গে মন্ত্রকের ব্যাখ্যা, দেশের মুষ্টিমেয় ভাল কলেজ ছাড়া অধিকাংশ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ পড়ুয়াদের পাঠ্যক্রম শেষে ‘ক্যাম্পাসিং’য়ের সুযোগ দিতে ব্যর্থ। যার ফলে পড়াশোনা শেষ করেও চাকরি পাচ্ছেন না পড়ুয়ারা। এছাড়া প্রত্যন্ত এলাকায় কলেজ হওয়া, যাতায়াতের অসুবিধে, গবেষণা তথা পরিকাঠামোগত দুর্বলতার কারণে নতুন ছাত্রছাত্রীরা ওই কলেজগুলিতে ভর্তি হতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। যার ফলে কলেজগুলি হয় বন্ধ হচ্ছে, না হলে পড়ুয়ার অভাবে ধুঁকছে।

মন্ত্রী জানান, চলতি বছরে দেশের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলিতে ৪৯.৩০ শতাংশ আসন শূন্য রয়েছে। তার আগের দু’বছরে যথাক্রমে শূন্য ছিল, ৪৯.৭০ এবং ৪৭.৬৮ শতাংশ আসন। মন্ত্রকের মতে, এক সময়ে দেশের সব রাজ্যেই ব্যাঙের ছাতার মতো ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ গড়ে উঠেছিল। চটজলদি লাভের আশায় বহু ব্যবসায়ী তাতে টাকাও ঢালতে এগিয়ে আসেন। কিন্তু সে ভাবে আয় না হওয়ায় তাঁরা এখন সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। মন্ত্রকের মতে, যারা দীর্ঘমেয়াদী ভিত্তিতে কলেজ চালাতে আগ্রহী, তাঁরাই আগামী দিনে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকবেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Engineering Satyapal Singh
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE