বিচারককেই ‘চোর’ বানিয়ে দিল পুলিশ! সরকারি নথিতে অভিযুক্তের নামের পাশে খোদ বিচারকের নাম লিখে তাঁর বাড়িতে হানা দিলেন তদন্তকারী অফিসার। শুধু তা-ই নয়, বাড়িতে কাউকে না পেয়ে রিপোর্টও জমা দেন আদালতে। যা দেখে হতভম্ব বিচারক!
উত্তরপ্রদেশের ফিরোজ়াবাদের এই ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই পুলিশ অফিসারকে। তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০১২ সালের ওই চুরির মামলায় দীর্ঘ দিন ধরেই পলাতক অভিযুক্ত রাজকুমার। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক বার গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। তার পরেও আদালতে হাজিরা না দেওয়ায় রাজকুমারকে অপরাধী ঘোষণা করেন জেলা দায়রা আদালতের বিচারক নাগমা খান। সেইমতো নথি তৈরি করতে গিয়ে অভিযুক্তের নামের পাশে বিচারক খানের নাম লিখে দিয়েছিলেন সাব ইনস্পেক্টর বনওয়ারিলাল। এখানেই শেষ নয়, ওই পুলিশ অফিসার বিচারকের বাড়িতে হানাও দেন। পরে তিনি আদালতে জানান, বাড়িতে কাউকে পাওয়া যায়নি!
গোটা ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই ক্ষুব্ধ আদালত। বিষয়টি আদালতের নজরে আসার পরেই ওই অফিসারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক খান। উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি এবং জেলা পুলিশ সুপারকেও জানানো হয়েছে। এর পরেই বনওয়ারিলালকে সাসপেন্ড করেন জেলা পুলিশ সুপার সৌরভ দীক্ষিত।
বিচারক বলেন, ‘‘এটা খুব অদ্ভুত যে, আদালত কী বলছে, কী পাঠাচ্ছে, তা নিয়ে বিন্দুমাত্র কোনও ধারণা নেই একজন পুলিশ অফিসারের।’’ এতে সাধারণ মানুষ বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা হারিয়ে ফেলবেন বলেও মনে করেন বিচারক। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁদের উপর দায়িত্ব, তাঁরা যদি এ রকম ভুল করেন এবং সেই ভুলের জন্য কোনও জবাবদিহি না করেন, তা হলে গোটা ব্যবস্থাই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়বে। এতে সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার এবং ব্যক্তিস্বাধীনতায় আঘাত আসবে।’’