রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়াহা।—ছবি পিটিআই।
জোড়া ধাক্কা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে আজ পদত্যাগ করলেন রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়াহা। ছাড়লেন এনডিএ জোট। লোকসভা ভোটের মুখে শরিক চলে যাওয়াটা সুখকর বার্তা নয় নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহের কাছে। দ্বিতীয় ধাক্কা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে লেখা উপেন্দ্রর ‘পত্রবোমা’। বিরোধীরা এতে মোদীর ‘ঔদ্ধত্য’ নিয়ে ফের মুখ খোলার সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন।
পদত্যাগের চিঠিতে পাঁচটি কারণ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীকে বিঁধেছেন উপেন্দ্র। লিখেছেন, ‘‘আপনার নেতৃত্বে নিজেকে প্রতারিত মনে করছি।’’ তাঁর অভিযোগ, মোদী সরকার গরিব ও অনগ্রসরদের জন্য কিছুই করছে না। দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে রাজনৈতিক বিরোধীদের। আরএসএসের কর্মসূচি চলছে মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকে। মোদীর বিরুদ্ধে এমন আক্রমণ লুফে নিয়েছে কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র রণদীপসিংহ সুরজেওয়ালা টুইটারে উপেন্দ্রর চিঠিটি তুলে ধরে লিখেছেন, ‘‘মোদী গণতন্ত্রের পক্ষে ক্ষতিকর।’’
এনডিএ জোট ছেড়ে এ বার কি বিরোধীদের মহাজোটে যোগ দেবেন? দেখা করবেন রাহুল গাঁধীর সঙ্গে? উপেন্দ্রর জবাব, ‘‘মহাজোট ছাড়াও তৃতীয় বিকল্প রয়েছে আমার কাছে।’’
বেশি আসন চাইলেও জোটে থাকলে দু’টির বেশি আসনে লড়ার সুযোগ পেতেন না উপেন্দ্ররা। সেই দু’টি আসন এ বার বিজেপি এবং জেডিইউ ভাগ করে নেওয়ার সম্ভাবনা। কারণ, গত অক্টোবরেই বিজেপি সভাপতি অমিত ও বি নীতীশ কুমারের বৈঠকে স্থির হয়েছে, ২০১৯-এ বিজেপি-জেডিইউ সমসংখ্যক আসনে লড়বে। ওই বৈঠকের দিনেই বিহারে বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বৈঠক করেন উপেন্দ্র। তার পর থেকেই বিজেপি-জেডিইউ দু’দলই তাঁকে উপেক্ষা করতে থাকে। কয়েক মাস ধরে মোদী-শাহের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েও সময় পাননি উপেন্দ্র। গত ৬ ডিসেম্বর পূর্ব চম্পারণে এক সভায় জোট ছাড়ার ইঙ্গিত দেন। ছাড়লেন আজ। বিজেপির মুখপাত্র নিখিল আনন্দের মন্তব্য, ‘‘রাজনীতিতে ধৈর্যহীন হলে চলে না। রাজনৈতিক আত্মহত্যা করলেন উপেন্দ্র।’’ জেডিইউয়ের অশোক চৌধুরী বলেন, ‘‘আগামী ভোটে মানুষ উপেন্দ্রকে তাঁর উপযুক্ত জায়গাটি চিনিয়ে দেবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy