রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার দেওয়ায় সাফল্যের খতিয়ান দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেইসঙ্গে বোঝাতে চাইলেন, দলিত ও মুসলিমদের জন্য কতটা দরদী তাঁর সরকার। ‘উজ্জ্বল যোজনা’-র মাধ্যমে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার সরবরাহ ‘সামাজিক পরিবর্তন’ এনেছে বলে দাবি মোদীর।
এ দিন ‘উজ্জ্বল যোজনা’-র গ্রাহকদের একাংশের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই দাবি করেন, ‘‘মানুষ উজ্জ্বল যোজনার সুবিধে পাওয়ার পর থেকে সামাজিক পরিবর্তন হয়েছে। প্রকল্পের সুবিধে পেয়েছেন ৪ কোটি মানুষ। তার ৪৫% দলিত ও আদিবাসী।’’ সাফল্যের কথা আরও বোঝাতে ইউপিএ জমানার সঙ্গে তুলনাও টানেন। তাঁর দাবি, ‘‘২০১৪ সাল পর্যন্ত ১৩ কোটি পরিবার রান্নার গ্যাসের সংযোগ পেয়েছিল। তার মানে ছ’দশকে ১৩ কোটি পরিবারের কাছে রান্নার গ্যাসের সংযোগ পৌঁছেছিল। তার বেশির ভাগই অবস্থাপন্ন। গত চার বছরে ১০ কোটি নতুন সংযোগ দেওয়া হয়েছে।’’ প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে দলিতেরা ৪৪৫টি পেট্রল পাম্প পেয়েছিলেন। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে তাঁদের ১২০০টি পেট্রল পাম্প দিয়েছিলেন। ইউপিএ জমানায় দলিতদের জন্য ৯০০টি রান্নার গ্যাস বণ্টন কেন্দ্র তৈরি হয়েছিল। ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে তৈরি হয়েছে ১৩০০টি। মোদীর কথায়, ‘‘দেশের ৭০ শতাংশ গ্রামে এখন সব পরিবারের কাছে রান্নার গ্যাস রয়েছে। ৭৫ শতাংশ গ্রামে আছে অন্তত ৮১ শতাংশ পরিবারের কাছে।’’
রান্নার গ্যাসের কথা বলতে গিয়ে নিজের স্মৃতির কথাও টেনেছেন মোদী। তাঁর বক্তব্য, ‘‘যখন ছোট ছিলাম তখন দেখতাম কেবল ধনীদের বাড়িতেই রান্নার গ্যাস। তারা গরিবদের বলত, রান্নার গ্যাস রাখা বিপজ্জনক। আমরা জানতে চাইতাম তা হলে তারা রেখেছে কী ভাবে? জবাব ধনীরা কখনও দিত না।’’ অনুষ্ঠানে হাজির ‘উজ্জ্বল যোজনা’ গ্রাহকদের মধ্যে ছিলেন কাশ্মীরের অনন্তনাগের এক দল মুসলিম মহিলাও। প্রধানমন্ত্রী জানান, যখন ছোট ছিলেন তখন তাঁর অনেক মুসলিম বন্ধু ছিল। রমজান মাসের সময়ে তাদের বাড়ির মহিলাদের রান্নার জন্য অনেক ভোরে উঠতে হত। মোদীর কথায়, ‘‘উজ্জ্বল যোজনার ফলে সেটাও বদলে গিয়ে থাকতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy