উদ্ধব ঠাকরে (বাঁ দিকে) এবং একনাথ শিণ্ডে। —ফাইল চিত্র।
মরাঠা সংরক্ষণ নিয়ে বিতর্কে উত্তপ্ত মহারাষ্ট্র। এই আবহেই দ্রুত সমাধানসূত্র বার করতে সর্বদল বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা নেতা একনাথ শিণ্ডে। কিন্তু সেই বৈঠকে শাসকজোটের শরিক বিজেপি, এনসিপি (অজিত), বিরোধী কংগ্রেস এবং এনসিপি (পওয়ার)কে আমন্ত্রণ জানানো হলেও ডাকা হল না শিবসেনা (উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে)-র কোনও নেতাকে। এই নিয়ে মহারাষ্ট্র রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
বুধবার সকালে সর্বদল বৈঠক শুরু হলে দেখা যায় বৈঠকে নেই মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদের সদস্য উদ্ধব, আদিত্য কিংবা উদ্ধবসেনার অন্য কোনও নেতা। তবে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এনসিপি নেতা শরদ পওয়ার। বৈঠক শুরু হওয়ার আগে মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয়ের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবিলায় সব দলের নেতাদের সহযোগিতা চাইছে সরকার। বর্তমানে ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভায় উদ্ধবসেনার ১৭ জন সদস্য রয়েছেন। ৭৮ আসনের বিধান পরিষদে রয়েছেন ৮ জন। ২০২২ সালের জুন মাসে সাবেক শিবসেনা ভেঙে অনুগত বিধায়কদের নিয়ে বিজেপির সঙ্গে হাত মেলান শিণ্ডে। ভেঙে যায় উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন জোট সরকার। পরে সংসদীয় শক্তির বিচারে শিণ্ডেসেনাকেই ‘প্রকৃত’ শিবসেনার মর্যাদা দেয় নির্বাচন কমিশন। যদিও শিবসেনা বিধায়কদের দলত্যাগ সংক্রান্ত একটি মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
মনে করা হচ্ছে পুরনো সেই বিবাদের কারণেই সর্বদল বৈঠকে ডাক পাননি উদ্ধব। যদিও সংরক্ষণ নিয়ে উত্তাপ কমার কোনও ইঙ্গিত নেই। বুধবার বৈঠক শুরু হওয়ার আগে রাজ্যের বীড় জেলায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে যান অতিরিক্ত ডিজি (আইনশৃঙ্খলা) সঞ্জয় সাক্সেনা। মরাঠাদের জন্য সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে ইতিমধ্যেই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন মনোজ জারাঙ্গে। বুধবার সকালে শোলাপুর জেলায় জারাঙ্গের চার জন সমর্থক বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রাজ্যের নানা অংশে বিক্ষোভ, অবরোধ এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনা আটকাতে মরাঠাওয়াড়ার পাঁচটি জেলায় সরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইন্টারনেট পরিষেবা স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছে সব চেয়ে অশান্ত জেলা বীড়ের বেশ কিছু অংশে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy