অরুণাভ কুমার। ছবি: লিঙ্কডিনের সৌজন্যে।
অনলাইন এন্টারটেনমেন্ট চ্যানেল ‘দ্য ভাইরাল ফিভার’-এর সিইও অরুণাভ কুমারের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন তাঁরই সংস্থার এক প্রাক্তন কর্মী। তাঁর সমর্থনে দাঁড়িয়ে, নিজেদেরও একই রকমের অভিজ্ঞতা হয়েছিল বলে এ বার অভিযোগ আনলেন সংস্থার আরও দুই প্রাক্তন মহিলা কর্মী।
আরও পড়ুন, অনলাইন কেনাকাটায় ঠকছেন? জেনে নিন কী করবেন
সম্প্রতি ‘দ্য ইন্ডিনায় উবের –দ্যাট ইজ টিভিএফ’ নামের একটি ব্লগে বছর পঁচিশের এক যুবতী লেখেন, দু’বছর তিনি কাজ করেছিলেন ওই ফার্মে। তার মধ্যে বেশ কয়েক বার তাঁকে অরুণাভের শ্লীলতাহানির শিকার হতে হয়। সেই পোস্ট ভাইরাল হয়ে ওটে। ব্লগে ইন্ডিয়ান ফ্লাওয়ার নাম দিয়ে ওই যুবতী লেখেন, ২০১৪ সালে মুম্বইতে অরুণাভের সঙ্গে তাঁর প্রথম আলাপ হয়। তিনি তখন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। নিজের ফার্মে চাকরি দেন অরুণাভ। তাঁরা দু’জনেই মুজফ্ফরপুরের আদি বাসিন্দা। ফলে প্রথম থেকেই তাঁর সঙ্গে অরুণাভের ভাল আলাপ জমে উঠেছিল। কিন্তু কাজে যোগ দেওয়ার মাস খানেকের মধ্যেই মধ্যেই প্রথম বার শ্লীলতাহানি করা হয় তাঁকে। তিনি বাধা দিয়ে বলেছিলেন, ‘অরুণাভ তুমি বড় দাদার মতো। আমাকে কাজের কথা বল। কাজটা শেষ করি। তার পর বাড়ি চলে যাব।’ তখন হঠাত্ই তাঁর হাত ধরে ফেলেন অরুণাভ। এতে অবাক হয়ে যান তিনি। এর পর থেকেই নাকি এটাই রুটিন হয়ে যায়। বিভিন্ন পার্টিতে মদ খাওয়ার পর তাঁর উপর একইরকম ভাবে অরুণাভ অত্যাচার করতেন বলে অভিযোগ।
তাঁকে সমর্থন জানিয়ে এগিয়ে এসেছেন ওই সংস্থার আরও দুই প্রাক্তন কর্মী। ওয়েব ওয়ার্ল্ডে আয়ুষী আগরওয়াল এবং রিমা সেনগুপ্ত নামের ওই দুই প্রাক্তন কর্মী দাবি করেছেন, একই রকম অভিজ্ঞতা হয়েছে তাঁদেরও।
আরও পড়ুন, মুখ ঘোরাল সবাই, ভিখারির হাতেই জন্মালো শিশু
যদিও সংশ্লিষ্ট সংস্থার তরফে মহিলার সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ ব্লগে লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, টিভিএফ-এর বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ মিথ্যে। এর কোনও প্রমাণও নেই। কী কারণে ওই মহিলা এই ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন তা জানতে চাওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ওই সংস্থা থেকে ইস্তফা দিয়েছেন এই তরুণী। কিন্তু শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগ না লিখে পুলিশের খাতায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেছেন কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy