ট্রাকে ধাক্কা বাসের। বৃহস্পতিবার হাথরসে। ছবি: সংগৃহীত।
ফের দুর্ঘটনা। ফের খবরে উত্তরপ্রদেশের সেই হাথরস। বৃহস্পতিবার সেখানে একটি বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৬ জন। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পিছনে এসে ধাক্কা মারে যাত্রীবোঝাই বাসটি।
বৃহস্পতিবার হাথরসের থানা সিকান্দ্রারাও এলাকার টোলি গ্রামের কাছে দুর্ঘটনাটি ঘটে। জেলাশাসক আশিস কুমার জানান, ভোরবেলা দুর্ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় উদ্ধারকারী দল। আহতদের তড়িঘড়ি বগলা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পাঁচ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের আলিগড় মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়েছে। কী কারণে দুর্ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছে স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসন।
গত ২ জুলাই এই হাথরসেই একটি ধর্মীয় ‘সৎসঙ্গে’ ১২১ জন পদপিষ্ট হয়ে মারা যান। স্বঘোষিত ধর্মগুরু নারায়ণ সাকার হরি ওরফে ‘ভোলে বাবা’র কয়েক লক্ষ ভক্ত জড়ো হয়েছিলেন। হুড়োহুড়ির মধ্যে পড়ে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে জেলা প্রশাসনের ছ’জন আধিকারিককে সাসপেন্ড করেছে উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার। তাঁদের মধ্যে এক জন মহকুমাশাসকও রয়েছেন। যদিও ‘ভোলে বাবা’ কোথায়, তা জানা যায়নি।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এই হাথরসই গোটা দেশে আলোড়ন ফেলেছিল। বুলগড়ি গ্রামে মায়ের সঙ্গে মাঠে কাজ করছিলেন এক দলিত তরুণী। মায়ের থেকে ১০০ মিটার দূরেই ক্ষেতে কাজ করছিলেন তিনি। কন্যার চিৎকারের আওয়াজ শুনে তরুণীর মা ছুটে যান। সেখানে যেতেই দেখেন তাঁর কন্যা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। জিভ কেটে নেওয়া হয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ না নেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। তরুণীকে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে জেএনএমসি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ১৪ দিন ভর্তি ছিলেন। সেখানেই তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। ২৯ সেপ্টেম্বর তরুণীর মৃত্যু হয়। পরিবারকে না জানিয়ে রাতারাতি ওই তরুণীর দেহ সৎকার করারও অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই উত্তাল হয় গোটা দেশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy