দীর্ঘদিন পর সংসদের বাইরে সক্রিয় হলেন বিরোধী মঞ্চ ‘ইন্ডিয়া’র সদস্যরা। আজ কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি (এসপি), ডিএমকে, শিবসেনা (ইউবিটি), সিপিএমের সাংসদেরা সাংবাদিক বৈঠক করে একযোগে দাবি জানালেন, ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইনের (ডিপিডিপি) একটি নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদ সরিয়ে নেওয়া হোক। দাবি, এই অনুচ্ছেদটি তথ্যের অধিকার সংক্রান্ত আইনটিকে (আরটিআই) ধ্বংস করে দিচ্ছে।
আজ হাতে একটি স্মারকলিপি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেসের গৌরব গগৈ, শিবসেনা (ইউবিটি)-র প্রিয়ঙ্কা চতুর্বেদী, সিপিএমের জন ব্রিটাস, এসপি-র জাভেদ আলি খান, ডিএমকে-র এম এম আবদুল্লা প্রমুখ। এই স্মারকলিপি তাঁরা পাঠাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের কাছে। গগৈ বলেন, “লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী-সহ ১২০ জনেরও বেশি সাংসদ (ইন্ডিয়া ব্লকের) এতে সই করেছেন।”
বিরোধীদের বক্তব্য, ডিপিডিপি আইনের ৪৪ (৩) অনুচ্ছেদ, আরটিআইয়ের ৮ (১) (জে) অনুচ্ছেদটিকে প্রতিস্থাপিত করছে। আরটিআইয়ের ওই অনুচ্ছেদে বলা ছিল, যদি কোনও তথ্যের সঙ্গে জনজীবন বা আম জনতার স্বার্থ জড়িত না থাকে বা তা অন্যের গোপনীয়তাকে আঘাত না করে, তা হলে ব্যক্তি বা সংস্থা সেই তথ্য না-ও প্রকাশ করতে পারে। আর ডিপিডিপি আইন বলছে, সরকারি সংস্থাগুলি যে কোনও তথ্যই প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে পারে। উদাহরণ দিয়ে গগৈ বলেন, “কোনও রাজ্যে সেতু ভেঙে পড়লে নতুন আইনে সাধারণ মানুষের অধিকার থাকবে না কোনও কন্ট্রাক্টরকে সেই বরাত দেওয়া হল বা একই কন্ট্রাক্টরকেই বারবার বরাত দিয়ে যাওয়া হচ্ছে না তা আরটিআই করে বার করার।”
প্রসঙ্গত, বিরোধীদের আপত্তির মধ্যেই লোকসভায় ডিজিটাল ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা বিল পেশ করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। ডিজিটাল দুনিয়ায় আমজনতার তথ্যের গোপনীয়তা বজায় রাখা এবং তা সুরক্ষিত রাখতে আইন তৈরি করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরকারের অন্দরমহলে আলোচনা চলছে। সরকারের বক্তব্য, কারও তথ্য তাঁর অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ যাতে ব্যবহার করতে না পারে, যাতে সেই তথ্য সুরক্ষিত থাকে, তা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)