ভাইরাল: ভিডিও-র সেই অংশ
হাতে মদের বোতল। টলমল পা। মদ্যপ দুই যুবক রেলিংয়ে উঠে ‘স্টান্ট’ দেখাচ্ছিলেন বন্ধুদের। কাল হল সেটাই। দু’হাজার ফুট গভীর খাদে পড়ে গিয়ে প্রাণ হারালেন দুই বন্ধু। সোমবার সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের আম্বোলি ঘাটের দুর্ঘটনার এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ভাইরাল’ হয়ে গিয়েছে। গত শনিবারই মুম্বইয়ের শহরতলিতে ‘ব্লু হোয়েল’ নামে এক অনলাইন গেমের চ্যালেঞ্জ নিতে গিয়ে একটি বহুতলের ছ’তলা থেকে লাফ দিয়ে মারা গিয়েছে মনপ্রীত সিংহ নামে ১৪ বছরের এক কিশোর।
আরও পড়ুন:‘বেণীসংহার’ ঠেকাতে খোঁজ ব্যোমকেশের
আম্বোলি ঘাটের ঘটনাও যেন ‘ব্লু হোয়েল’-এর মতোই মারণ-খেলা। এতে মৃত দুই যুবক, ইমরান গারাদি (২৬) ও প্রতাপ রাঠৌর (২১)। বৃষ্টি, ফুঁসে ওঠা জলপ্রপাত ও কুয়াশার কারণে খাদের মধ্যে তাঁদের দেহ চিহ্নিত করা গেলেও উদ্ধার সম্ভব হয়নি বলে জানান পুলিশকর্তা সুনীল ধানওয়াড়ে। মহারাষ্ট্রের জনপ্রিয় ‘পিকনিক স্পট’ আম্বোলি ঘাট। তার সেতু কাওয়ালে সাদ পয়েন্টে এসে হুল্লোড় করছিলেন ইমরান ও প্রতাপ-সহ কোলাপুরের পোলট্রি ফার্মের সাত কর্মী। কিছু ক্ষণ পর বাকিরা চলে যেতে চাইলে, ইমরান ও প্রতাপ তাঁদের বাধা দেন। তার পরেই মদ্যপ দুই বন্ধু শুরু করেন মারণ-স্টান্ট। অন্য বন্ধুরা তা ভিডিও করতে শুরু করেন। দুর্ঘটনার পরে বন্ধুরা পুলিশের কাছে গিয়ে জানান, ইমরান এবং প্রতাপ নামে তাঁদের দুই বন্ধু নিখোঁজ। দুর্ঘটনার ভিডিওটি সামনে আসার পরে বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়।
দেখুন সেই ভিডিও:
‘ভাইরাল’ ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, মদ্যপ ইমরান এবং প্রতাপ রেলিংয়ে উঠে স্টান্ট দেখাচ্ছেন। বন্ধুরা সাবাশি আর শিস দিচ্ছেন। স্টান্টবাজদের এক জন এক বার রেলিং থেকে পিছিয়ে এলেন। তার পরেই রেলিংয়ে উঠে একেবারে খাদের ধারে গিয়ে দাঁড়ালেন। বন্ধুরা আতঙ্কে চিৎকার করে উঠলেন। তাই দেখে হাসতে হাসতে কথা বলতে বলতেই সেই যুবক পা ফস্কালেন। পাশের জনকে ধরে তিনি বাঁচার শেষ চেষ্টা করলেন। তার পর একসঙ্গে দু’জনেই তলিয়ে গেলেন খাদের গর্ভে।
পুলিশ জানিয়েছে, দু’জনকে বাধা দিয়ে প্রাণ বাঁচানোর বদলে বন্ধুরা কেন ভিডিও তুলছিলেন, সে কথা জেরায় জানতে চাওয়া হবে। উদ্ধারকারী দল খাদের কিছু দূর নেমে দেহ দু’টি দেখতে পায়। কিন্তু প্রকৃতি বাদ সাধায় দেহ দু’টি উদ্ধার করা যায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy