ফাইল ছবি।
লোকসভা ভোটের বছরের শুরুতেই লাগাতার দু’দিনের সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিল দশটি ট্রেড ইউনিয়ন। ২০১৯-এর ৮ ও ৯ জানুয়ারির ওই ধর্মঘটে সঙ্ঘ পরিবারের শ্রমিক সংগঠন বিএমএস ছাড়া বাকি সবকটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নই যোগ দিচ্ছে।
আজ দিল্লিতে দশটি ট্রেড ইউনিয়নের সম্মেলনে সিটু-র সাধারণ সম্পাদক তপন সেন অভিযোগ তোলেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার শ্রমিকদের দাবিদাওয়া নিয়ে আলোচনার বদলে জনবিরোধী নীতি নিচ্ছে। সেই নীতি বদলের জন্যই কেন্দ্রের সরকার বদল প্রয়োজন। শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা ধর্মঘটকে সর্বাত্মক বন্ধের চেহারা দিতে কৃষক, ক্ষেতমজুর থেকে ছোট ব্যবসায়ী—সকলের কাছেই আবেদন জানানো হবে বলে জানান এআইটিইউসি-র সভানেত্রী অমরজিৎ কৌর।
বস্তুত এই প্রথম টানা দু’দিনের ধর্মঘটের ডাক দিল কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলি। কংগ্রেস ও বামেদের রেল কর্মচারী সংগঠনগুলিও ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে। তবে রেলের কর্মীরা যোগ দেবেন কি না, তা এখনও ঠিক হয়নি। কিন্তু বিএমএস যোগ না দেওয়ায় কতটা ধর্মঘট সফল হবে, সেই প্রশ্নও উঠেছে। অমরজিতের যুক্তি, ‘‘বিএমএস শুধু মোদী সরকারের সঙ্গে দরকষাকষি করতে রাজি। সরকার বিরোধী আন্দোলনে নামতে রাজি নয়। ফলে তাদের বাদ দিয়ে চলা ছাড়া উপায় নেই।’’
শ্রমিকদের দাবিদাওয়া খতিয়ে দেখতে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির নেতৃত্বে মন্ত্রিগোষ্ঠী তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ইউটিইউসি-র নেতা অশোক ঘোষের অভিযোগ, সরকার ন্যূনতম বেতন, সকলের জন্য সামাজিক সুরক্ষা, সরকারি-বেসরকারি ক্ষেত্রে ঠিকা চুক্তিতে নিয়োগ সংক্রান্ত তাঁদের ১২ দফা দাবি শুনতেই রাজি নয়। তিনি জানান, অক্টোবর-নভেম্বর ধরে ধর্মঘটের পক্ষে প্রচার চলবে। নভেম্বর-ডিসেম্বরে কারখানার গেটে সভা হবে। ১৭ থেকে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে ধর্মঘটের নোটিস দিয়ে দেওয়া হবে।
কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি-র নেতা জি সঞ্জীবা রেড্ডি বলেন, ‘‘সরকার ৪৪টি কেন্দ্রীয় শ্রম আইনকে সংশোধন করে চারটি শ্রম বিধি তৈরি করছে। এতে মালিকদের সুবিধা হবে।’’ একই কারণে সরকারি নির্দেশিকা জারি করে নির্দিষ্ট মেয়াদের নিয়োগের অনুমতি দেওয়া বলেও তাঁর অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy