ফাইল চিত্র।
সেনা অভিযান বন্ধ হলেও কাশ্মীরে জঙ্গি তৎপরতা কমেনি। এ বার জম্মুর আখনুর সেক্টরে হামলা চালিয়ে পাক বাহিনী বুঝিয়ে দিল, তারাও সংঘর্ষবিরতি মেনে চলতে আদৌ আগ্রহী নয়।
সপ্তাহখানেক আগেই ভারতীয় ও পাকিস্তানি সেনার ডিরেক্টর অব মিলিটারি অপারেশনস-এর মধ্যে আলোচনা হয়। সেই আলোচনায় স্থির হয়, দু’দেশই সংঘর্ষবিরতি পুরোপুরি মেনে চলবে। কিন্তু আজ ভোর থেকে জম্মুর আখনুরে পারগওয়াল এলাকায় হামলা শুরু করে পাক রেঞ্জার্স বাহিনী। তাতে গুরুতর জখম হন বিএসএফের অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইনস্পেক্টর সত্যনারায়ণ যাদব ও কনস্টেবল বিজয়কুমার পাণ্ডে। পরে হাসপাতালে তাঁদের মৃত্যু হয়। পাঁচ জন স্থানীয় বাসিন্দা ও দু’জন পুলিশও আহত হয়েছেন। পাল্টা হামলায় পাক রেঞ্জার্স বাহিনীর বেশ কয়েকটি পোস্ট ধ্বংস হয়ে গিয়েছে বলে দাবি বিএসএফের।
বিএসএফের আইজি রাম অবতারের মতে, এই ঘটনা থেকেই প্রমাণ হয় ইসলামাবাদ মুখে এক বলে, কাজে এক করে। সীমান্তের ওপারে জঙ্গি ও পাক বাহিনীর গতিবিধি বুঝতে ‘থার্মাল ইমেজিং ডিভাইস’ ব্যবহার করে ভারতীয় বাহিনী। তা এড়াতে পাক জওয়ানেরা অনেক ক্ষেত্রে আবার ‘থার্মাল কামোফ্লাজ স্যুট’ ব্যবহার করেন বলে দাবি গোয়েন্দাদের। এই ধরনের পোশাক পরলে ‘থার্মাল ইমেজিং ডিভাইস’-এ গতিবিধি ধরা পড়ে না। এ ক্ষেত্রেও পাক জওয়ানেরা এমন পোশাক পরেই হামলা চালিয়েছিলেন বলে কোনও কোনও সূত্রে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু তা মানতে রাজি হননি বিএসএফের আইজি। পাক বাহিনীর স্নাইপাররাও হামলা চালিয়েছেন বলে মনে করেন না তিনি।
ঘটনাচক্রে এ দিনই রমজান মাসে কাশ্মীরে সেনা অভিযান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তকে ব্যঙ্গ করেছে পাক জঙ্গি সংগঠন জইশ ই মহম্মদের নেতা মাসুদ আজহার। এ দিন প্রকাশিত এক অডিও ক্লিপে মাসুদকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘সেনা অভিযান বন্ধ থাকায় কাশ্মীরে আমরা বেশ কিছুটা খালি জমি পেয়েছি।’’ অন্য জঙ্গি সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে মাসুদ বলেছে, ‘‘হিজবুলের নেতারা তাদের কর্মীদের আত্মত্যাগ ভুলে গিয়ে থাকলে জইশ ওই কর্মীদের হয়ে বদলা নেবে। ভারতের জেলে বন্দি হিজবুল কর্মীদের ছাড়াবে।’’ গোয়েন্দাদের মতে, হিজবুল নেতা সৈয়দ সালাউদ্দিন সংগঠনের উপরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। তাই জইশ হিজবুল জঙ্গিদের দলে ভে়ড়ানোর চেষ্টা করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy