বিজেপির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে কংগ্রেসের বিক্ষোভ ত্রিপুরায়। ছবি: সংগৃহীত।
বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পরেই অশান্তি ছড়াল ত্রিপুয়ায়। বুধবার রাতে ধলাই জেলায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হলেন বিরোধী জনজাতি দল তিপ্রা মথার এক কর্মী। অন্য দিকে, কংগ্রেসের মিছিলে হামলায় এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার-সহ ১০ জনের জখম হওয়ার ঘটনার জেরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পশ্চিম ত্রিপুরায়।
দু’টি ক্ষেত্রেই হামলার অভিযোগ উঠেছে শাসকদল বিজেপির দিকে।ধলাইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সপার বিন দেববর্মা জানিয়েছেন, বুধবার রাতে বামনতচেরা এলাকায় একটি গাড়িতে হামলা করে দুষ্কৃতীরা। ঘটনায় তিপ্রা কর্মী প্রণজিৎ নমশুদ্র গুরুতর আহত হন। কুলাই হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা রাজপরিবারের বংশধর প্রদ্যোতবিক্রম মাণিক্য দেববর্মন ২০২১ সালের গোড়ায় জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষের অধিকার রক্ষার দাবিতে তিপ্রা ইন্ডিজেনাস প্রোগ্রেসিভ রিজিয়নাল অ্যালায়েন্স বা তিপ্রা মথা দল গড়েছিলেন। দলের জনভিত্তির প্রথম প্রমাণ পাওয়া যায় ২০২১ সালের এপ্রিলে, ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াস অটোনমাস ডিসট্রিক্ট কাউন্সিল (এডিসি) নির্বাচনে। বিভিন্ন আদিবাসী বা জনজাতি সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে তৈরি তিপ্রা মথা এডিসি ১৮টি আসনে জয়লাভ করে। বাকি ৯টি আসন মিলিত ভাবে পায় বিজেপি এবং তাদের জোট সঙ্গী আর এক জনজাতি দল ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অব ত্রিপুরা (আইপিএফটি)।
বুধবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যনির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার জানান, ত্রিপুরায় বিধানসভা ভোট হবে আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি। গণনা ২ মার্চ। সে রাজ্যের ৬০ বিধানসভা আসনের মধ্যে ২০টি জনজাতি এলাকায় অবস্থিত। অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসে ভর করে পদ্ম-শিবির জনজাতি এলাকায় হারানো জমি ফিরে পেতে চাইছে। বিরোধীদের মধ্যে ভয় তৈরি করতে ভোটের আগে বিশালগড়ে বিনা অভিযোগে দুই কংগ্রেস কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy