Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Election Commission

দেশের যে কোনও প্রান্তে বসেই দেওয়া যাবে ভোট, রিমোট ভোটিং চালু করছে কমিশন

ভবিষ্যতের কথা ভেবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও সহজসাধ্য করে তুলতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা।

শীঘ্রই শুরু হবে রিমোট ভোটিংয়ের মহড়া।

শীঘ্রই শুরু হবে রিমোট ভোটিংয়ের মহড়া। —প্রতীকী চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২১ ০৯:০২
Share: Save:

ভোট দিতে যাওয়ার জন্য আর পড়িমড়ি করে নিজের কেন্দ্রে ছুটে আসতে হবে না। বরং দেশের যে কোনও প্রান্তে বসেই ভোট দিতে পারবেন সাধারণ মানুষ। উন্নত প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে এমনই ‘রিমোট ভোটিং’-এর বন্দোবস্ত করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। খুব শীঘ্র তার মহড়াও শুরু হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত কমিশন। তার মধ্যেই রবিবার ‘রিমোট ভোটিং’ পরিকল্পনার কথা জানান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। ভবিষ্যতের কথা ভেবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও সহজসাধ্য করে তুলতেই এমন পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন তিনি।

প্রতি বছর নির্বাচন কমিশনের প্রতিষ্ঠা দিবস ২৫ জানুয়ারিকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসাবে পালন করা হয়। সেই উপলক্ষেই এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন অরোরা। তিনি বলেন, “রিমোট ভোটিংয়ের বিষয়টি গবেষণার পর্যায়ে রয়েছে। আইআইটি মাদ্রাজ এবং আরও বেশ কিছু সংগঠন তাতে যুক্ত রয়েছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কাজ ভালই এগচ্ছে। খুব শীঘ্র মহড়াও শুরু হবে।”

পড়াশোনা, চিকিৎসা অথবা কর্মসূত্রে বাইরে থাকার দরুণ প্রতি নির্বাচনেই হাজার হাজার মানুষ ভোটদান থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হন। যে কেন্দ্রে নাম নথিভুক্ত রয়েছে, সেখানকার নির্দিষ্ট বুথে গিয়েই যে হেতু ভোট দেওয়া নিয়ম, তাই ভৌগলিক প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে বহু মানুষই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন না। সেই কারণেই এমন উদ্যোগ কমিশনের। এই উদ্যোগ সফল হলে দেশের যে কোনও প্রান্তে বসে যে কোনও অঞ্চলের ভোটার ভোট দিতে পারবেন।

শুধু তাই নয়, পড়াশোনা এবং কর্মসূত্রে বিদেশে থাকা ভারতীয়দেরও পোস্টাল ব্যালট পরিষেবা দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে কমিশন। কমিশনের তরফে কেন্দ্রীয় আইন মন্ত্রককে এ নিয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা চলছে বলে জানিয়েছেন অরোরা।

কোভিড পরিস্থিতিতেই সম্প্রতি বিহারে নির্বাচন করিয়েছে কমিশন। তাতে ভালই সাড়া মিলেছে। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মানুষদের একই ভাবে নির্ভয়ে, কারও দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে ভোট দিতে আসার আর্জি জানিয়েছেন অরোরা। ২০১৮ সালে সি-ভিজিল অ্যাপ চালু করেছিল কমিশন। এর মাধ্যমে কোথাও নির্বাচনী বিধিভঙ্গ হলে, সরাসরি কমিশনকে রিপোর্ট করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। নির্বিঘ্নে, শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এমন আরও পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে কমিশন। সোমবার ই-এপিক কার্ড চালু করবে তারা। ওই কার্ডের মাধ্যমে সহজে ভোটার তালিকায় নাম তোলা সম্ভব হবে। এ ছাড়াও ‘হ্যালো ভোটার্স’ এবং ওয়েব রেডিয়োর মাধ্যনে ভোটারদের সঙ্গে সংযোগ আরও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy