কাবুলে তালিবান সরকারের বিদেশ দফতরের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের যুগ্মসচিব জে পি সিংহ। ফাইল চিত্র।
বিদেশ মন্ত্রকের সহায়তার আয়োজিত ইন্ডিয়ান টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকনমিক কোঅপারেশন (আইটিইসি) প্রোগ্রামের অধীনে একটি অনলাইন প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ‘আমন্ত্রিত’ তালিকায় আফগানিস্তানের তালিবান কূটনীতিকরা! কাবুল থেকে প্রচারিত একটি খবরের জেরে সোমবার বিতর্ক তৈরি হল নয়াদিল্লিতে।
এই পরিস্থিতিতে সোমবার ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়ে বিদেশমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, এই আমন্ত্রণের ঘটনায় নয়াদিল্লির আফগানিস্তান নীতিতে কোনও পরিবর্তন হবে না। তা ছাড়া ওই প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি পুরোপুরি অনলাইনে হবে। তালিবান সরকারের কোনও কূটনীতিক তাতে যোগ দিতে ভারতে আসবেন না বলেও জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
দু’বছর আগে গৃহযুদ্ধের মাধ্যমে আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করলেও এখনও তালিবান সরকারকে স্বীকৃতি দেয়নি নয়াদিল্লি। ফলে আনুষ্ঠানিক ভাবে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। এই পরিস্থিতিতে মোদী সরকারের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে তালিবান কূটনীতিকদের আমন্ত্রণ জানানোর ঘটনায় কূটনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে।
সূত্রের খবর, কেরলের কোঝিকোড়ে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম)-এ বিদেশ মন্ত্রক পরিচালিত আইটিইসি প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে। আফগান বিদেশ দফতরের পরিচালনাধীন কূটনৈতিক প্রশিক্ষণ সংস্থাকে মেল পাঠিয়ে বলা হয়েছে, যে কূটনীতিকদের অনলাইন না প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যোগদানের জন্য মনোনীত করা হবে ১৪ থেকে ১৭ মার্চের মধ্যে তাঁদের নাম নথিভূক্ত করার জন্য। যা ঘিরে তৈরি হয় বিতর্ক।
প্রসঙ্গত, তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার প্রায় ১০ মাস বাদে কাবুলে পা রেখেছিলেন ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকেরা। ২০২২ সালের জুন মাসে বিদেশ মন্ত্রকের পাকিস্তান-আফগানিস্তান-ইরান বিষয়ক যুগ্মসচিব জে পি সিংহের নেতৃত্বে ভারতীয় প্রতিনিধি দল কাবুল পৌঁছে দেখা করেন তালিবান বিদেশমন্ত্রী ওয়াকিল আহমেদ মুত্তাওয়াকিল-সহ কয়েক জন প্রতিনিধির সঙ্গে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy