বেলাইন: মোগলসরাইয়ের কাছে ছিটকে পড়া মালগাড়ি। বুধবার। নিজস্ব চিত্র।
ট্রেনের মাত্রাধিক্যের চাপে মোগলসরাই থেকে ইলাহাবাদ পর্যন্ত লাইন এমনিতেই জর্জরিত। দুর্ঘটনা ঘটলে তো কথাই নেই। ঠিক এমনই ঘটেছে বুধবার। মোগলসরাইয়ের কাছে একটি মালগাড়ির ১৬টি কামরা লাইনচ্যুত হয়ে এমন ভাবে উল্টে পাল্টে যায়, যে ওই শাখার তিনটি (আপ, ডাউন ও রিভার্সাল) লাইনের সব ক’টিতেই ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে এ দিন ভোর ৪টে নাগাদ। আসানসোল-সীতারামপুর-গয়া-মোগলসরাই গ্র্যান্ড কর্ডের কর্মনাশা ও ধানিচা স্টেশনের মাঝে। মালগাড়িটি আপ লাইন দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। গতি বেশি থাকায় ২০টি কামরার মধ্যে ১৬টিই লাইন থেকে এ দিক, ও দিক ছিটকে পড়ে। রেল কর্তারা জানিয়েছেন, এর ফলে তিনটি লাইনই বন্ধ হয়ে যায়।
ঘটনার জেরে কলকাতা-নয়াদিল্লি রুটের রাজধানী, দুরন্ত-সহ বহু ট্রেনের যাত্রীরা ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েন। প্রতিটি ট্রেনই আসানসোল-সীতারামপুর-ঝাঁঝা-পটনা হয়ে ঘুরপথে চালাতে গিয়ে গড়ে ৭-৮ ঘণ্টা করে দেরিতে চলেছে। অস্বাভাবিক দেরিতে চলছে আরও ৪টি জোনের দিল্লিমুখী ট্রেনও। দুর্ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে যান পূর্ব-মধ্য রেলের কর্তারা। উল্টে যাওয়া কামরাগুলিকে ফের লাইনে বসানোর কাজ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে এমন ভাবে মালগাড়ির যন্ত্রাংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়, যে সেগুলি সরাতেই অনেক সময় লেগে যায়। অনেকটা লাইনও ভেঙে যায়। দুর্ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পূর্ব-মধ্য রেল কতৃর্পক্ষ। কামরাগুলির যন্ত্রাংশ যে ভাবে অনেক দূর পর্যন্ত ছিটকে পড়েছিল, তাতে নাশকতার সম্ভবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না রেল কর্তারা।
তবে এই লাইনে যাওয়া দিল্লিমুখী ট্রেনগুলির ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেট নিত্য নৈমিত্যিক বিষয়। রাজধানী, দুরন্ত ও শতাব্দীর মত কুলীন ট্রেনগুলি নিয়মিত দেরিতে চলাচলের বিষয়টি নিয়ে বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরব হন পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল ও সিপিএম সাংসদেরা। পরে রেলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু জবাবে জানান, ওই লাইনে পরিকাঠামো উন্নত করার কাজ চলছে। ট্রেনের লেট এখন অনেকটাই কমানো গিয়েছে। ওই কাজ শেষ হলে এই প্রবণতা আরও কমবে।
আরও পড়ুন: পানাগড়িয়ার প্রশ্নই চ্যালেঞ্জ প্রধানমন্ত্রীর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy