Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

গোমাংস নিয়ে উল্টো সুর পর্যটনমন্ত্রীর

শপথ নেওয়ার পর দিনই অ্যালফোন্স কান্নানথানম জানিয়েছিলেন, বিজেপির কোনও খাদ্যবিধি নেই। কিন্তু তার কয়েক দিন পরেই গোমাংস নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন অ্যালফোন্স। বৃহস্পতিবার বিদেশি পর্যটকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘ভারতে ঘুরতে আসার আগে নিজের দেশে গোমাংসটা খেয়ে আসুন।’’

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৪:০৯
Share: Save:

ভোলবদল নতুন কেন্দ্রীয় পর্যটনমন্ত্রীর। শপথ নেওয়ার পর দিনই অ্যালফোন্স কান্নানথানম জানিয়েছিলেন, বিজেপির কোনও খাদ্যবিধি নেই। কিন্তু তার কয়েক দিন পরেই গোমাংস নিয়ে মন্তব্য করে বিতর্কে জড়ালেন অ্যালফোন্স। বৃহস্পতিবার বিদেশি পর্যটকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘‘ভারতে ঘুরতে আসার আগে নিজের দেশে গোমাংসটা খেয়ে আসুন।’’ ভুবনেশ্বরে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্যুর অপারেটরদের সম্মেলনের ফাঁকে সাংবাদিকরা অ্যালফোন্সকে প্রশ্ন করেন, গোরক্ষা এবং গোমাংস নিয়ে বিতর্ক দেশের পর্যটনে কোনও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে কি না? তার উত্তরেই বিদেশি পর্যটকদের এই পরামর্শ দেন প্রাক্তন আমলা।

গত রবিবার পর্যটনমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরেই সোমবার অবশ্য অন্য কথা শোনা গিয়েছিল অ্যালফোন্সের গলায়। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ‘‘গোমাংস নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে। রাজ্যগুলির জন্য বিজেপির নির্দিষ্ট কোনও খাদ্যবিধি আছে বলে আমি মনে করি না। গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পর্রীকর বলে দিয়েছেন, গোয়ায় গোমাংস খাওয়ায় কোনও বাধা নেই। কেরলেও গোমাংস বন্ধ হবে না। কোন রাজ্যে কে কী খাবেন, তা নিয়ে বিজেপির কোনও সমস্যা নেই।’’

প্রসঙ্গত, বিদেশি পর্যটকরা ভারতে এসে বেশি যান কেরল এবং গোয়াতেই। অ্যালফোন্সের এই মম্তব্যের পরে বিদেশিদের কাছে ভারতের ভাবমূর্তি কী দাঁড়াবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ধোঁয়শায় পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE