আগরতলায় বাংলার উন্নয়নের মডেল তুলে ধরলেন বাংলার শাসকদলের নেতারা। ছবি: ফেসবুক।
পশ্চিমবঙ্গের মতোই বাঙালি অধ্যুষিত রাজ্য ত্রিপুরা। সেই রাজ্যের উন্নয়ন কী ভাবে হবে, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বাংলার উদাহারণই তুলে ধরল তৃণমূল। রবিবার আগরতলায় সাংবাদিক বৈঠক করে ত্রিপুরা রাজ্যের জন্য ইস্তেহার প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, বাণিজ্যমন্ত্রী শশী পাঁজা, রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব, ত্রিপুরা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও ত্রিপুরা তৃণমূলের সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাসের উপস্থিতিতে এই ইস্তাহার প্রকাশ হয়। সেখানে বাংলার উন্নয়নের মডেল তুলে ধরলেন বাংলার শাসকদলের নেতারা।
ব্রাত্য বলেন, ‘‘বাংলায় সব দিকের উন্নয়ন হয়েছে গত ১১ বছরে। তার উপর ভিত্তি করেই আমরা এক লক্ষ এমএসএমই-র কথা বলেছি। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে আমরা ব্যাপক পরিবর্তনের কথা বলেছি। উচ্চ শিক্ষায় আমরা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার কথা বলেছি। ২ লক্ষ কর্মসংস্থানের কথা বলেছি।’’ মন্ত্রী শশী বলেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের কোনও অজুহাত দেখানো হয়নি। বিজেপি পরিচালিত কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাকে বঞ্চনা করেই চলেছে। তা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে উন্নয়নের কাজ থেমে নেই। বিজেপি যে ডাবল ইঞ্জিনের কথা বলে, সেই ডাবল ইঞ্জিন কিন্তু ত্রিপুরায় কাজ করতে পারেনি। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কাজ হয়েছে। এ বার ত্রিপুরার মানুষ সমর্থন করলেই কাজ করার সুযোগ পাবে তৃণমূল।’’
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ত্রিপুরার মাটিতে গত দু’বছর ধরে তাঁরা যে পরিশ্রম তাঁরা করেছেন, সেই অভিজ্ঞতাই উঠে এসেছে এই ইস্তাহারে। যে ১০,২২৩ জন শিক্ষকের চাকরি চলে গিয়েছে ত্রিপুরায়, তৃণমূল ক্ষমতায় এলে সেই শিক্ষকদের কথাও ভাবা হবে। সোমবার আগরতলায় যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। ওই দিনই ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে যাবেন তিনি। পর দিন মঙ্গলবার আগরতলায় তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে একটি পদযাত্রাও করবেন মমতা। ত্রিপুরার নির্বাচনে এ এবার ২৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে তৃণমূল। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি এক দফাতেই হবে ত্রিপুরা বিধানসভার ভোট। ফলাফল ঘোষণা হবে ২ মার্চ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy