গত এক সপ্তাহ ধরে বর্ধমান স্টেশনে ব্যাহত হচ্ছে রেল পরিষেবা। নিজস্ব চিত্র।
রোজের ব্যস্ত বর্ধমান স্টেশনে রবিবার গুনে ফেলা যায় লোকসংখ্যা। কোনও কোলাহল নেই। নেই হাঁকডাক। যেন শ্মশান! পুরনো সেতু ভেঙে ফেলার কাজ চলছে স্টেশনে। সে কারণে রবিবার সারা দিন বন্ধ হাওড়া এবং ব্যান্ডেল থেকে বর্ধমানগামী সব ট্রেন। বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন। হাতেগোনা কয়েকটি মেল ও এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল করছে। কয়েকটি ট্রেন ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিপাকে নিত্যযাত্রীরা। সোমবারও ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে না। এই পরিস্থিতি চলতে পারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
বর্ধমান স্টেশনে পুরনো সেতুর পাশে একটি আধুনিক উড়ালপুল তৈরি হয়েছে। তাই পুরনো সেতুটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। রবিবার ৪ ও ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মের মাঝে পুজো দিয়ে কাজ শুরু করেন কর্মীরা। এই সেতু ভাঙার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে বর্ধমান স্টেশনে ব্যহত হচ্ছে রেল পরিষেবা। সেতুটি প্রায় একশো বছরেরও বেশি পুরনো। অনেক আগেই তাকে ভারী যান চলাচলের অনুপযুক্ত ঘোষণা করা হয়েছিল। বিকল্প সেতু তৈরি নিয়ে অনেক টানাপোড়েন চলে। শেষে প্রায় গত তিন বছরের আগে নতুন উড়ালপুলটি যৌথ উদ্যোগে তৈরি করে রেল ও রাজ্য সরকার। কালনা, কাটোয়া, কলকাতা, দুর্গাপুর এবং আসানসোল যাওয়ার রাস্তাগুলিকে জুড়েছে নতুন উড়ালপুল।
এ দিকে পুরনো সেতু ভাঙার কারণে বিপাকে নিত্যযাত্রীরা। নিত্যযাত্রী শান্তনু ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এটা একটা বড় কাজ হচ্ছে। এটা মানতে হবে। কিছু করার নেই। হাওড়া ধানবাদ ব্ল্যাক ডায়মন্ড এক্সপ্রেস রবিবার আসানসোল যাবে। কিন্তু রেলের অ্যাপে দেখানো হচ্ছে, আর ফিরবে না। কিছু লোকাল ট্রেন আসানসোল থেকে ছেড়ে গলসি পর্যন্ত চলবে। এতে সমস্যা বেড়েছে।’’ ঠিকাদার সংস্থার কর্মী গোপাল বলেন, ‘‘দিনরাত কাজ করে রবিবার গোটা সেতুর কাঠামো সরিয়ে ফেলা হবে।’’ নিত্যযাত্রী সন্তোষ ঘোষের কথায়, ‘‘সমস্যা তো হচ্ছেই। সোমবার থেকে রেল পরিষেবা কেমন হবে, সেটাই বড় চিন্তার।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy