বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে জোশীমঠের ‘বিপর্যস্ত এলাকার’ বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে সুরক্ষিত এলাকায়। ফাইল ছবি।
পাহাড়ের বুকে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রাচীন জনপদ জোশীমঠের। পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে অবস্থা পর্যালোচনায় নরেন্দ্র মোদী সরকার গঠন করেছে বিশেষজ্ঞ দল। সরানো হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। কিন্তু উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকারের পর্যটনমন্ত্রী সৎপাল মহারাজ দাবি করলেন, জোশীমঠ নিয়ে তেমন কোনও উদ্বেগের কারণ নেই। মন্ত্রী যা-ই বলুন না কেন, বাস্তবে উদ্বেগ বাড়িয়েছে বদ্রীনাথ জাতীয় সড়কের ফাটল। জোশীমঠের আবহাওয়াও চিন্তার পক্ষে যথেষ্ট।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে জোশীমঠের ‘বিপর্যস্ত এলাকার’ বাসিন্দাদের সরানো হয়েছে সুরক্ষিত এলাকায়। ফাটল ধরেছে, এমন ৮৬৩টি বাড়িকে এ পর্যন্ত চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। ফাটল নিয়ে রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী সৎপালের দাবি, জোশীমঠ নিরাপদ। তিনি বলেন, ‘‘জোশীমঠ ডুবছে না। শুধু যাঁদের বাড়ির নিকাশি ব্যবস্থা খারাপ অথবা যাঁরা বাড়ির নীচে সেপটিক ট্যাঙ্ক বানিয়েছেন, তাঁদেরই অসুবিধার মুখে পড়েতে হয়েছে।’’ মন্ত্রীরবক্তব্য অবশ্য মানতে নারাজ জোশীমঠের বাসিন্দারা।
এরই মাঝে জোশীমঠের চামোলি জেলায় বদ্রীনাথ জাতীয় সড়ক পথে এক থেকে দুই মিটার লম্বা ফাটল উদ্বেগ বাড়িয়েছে সকলের। জাতীয় সড়কের ফাটল নিয়ে জেলা প্রশাসনের আশ্বাস, এ নিয়ে তেমন উদ্বেগের কারণ নেই। চামোলির জেলাশাসক হিমাংশু খুরানা জানিয়েছেন, ফাটল ধরার খবর পেতেই সেন্ট্রাল বিলডিং রিসার্চ ইনস্টিটিউট (সিবিআরআই)-এর তরফ একটি দল পাঠানো হয় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। তারা জানিয়েছে, স্থানীয় বসতি ও অতিরিক্ত ভারের জন্যই এই ফাটল দেখা দিয়ে থাকতে পারে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কমিটির সচিবের দাবি, তীর্থযাত্রার আগে সব রাস্তা মেরামত ফেলা হবে। জেলা প্রশাসনের আশ্বাসে তেমন আশ্বস্ত হতে পারছেননা বাসিন্দারা।
আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, জোশীমঠে আগামিকাল বৃষ্টি কিংবা তুষারপাতও হতে পারে। সতর্কতা হিসেবে ত্রাণ শিবিরগুলিতে কম্বল, গরম পোশাক, হিটার ও জেনারেটরের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তুষারপাত হলে যাতে দ্রুত রাস্তা পরিষ্কার করা হয়, পূর্ত দফতর ও বিআরওকে সতর্ক থাকতে বলা বলেছে জেলা প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy