Advertisement
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Narendra Modi

ডিবিও-দেপসাংয়ে চিনা শিবির নিয়ে প্রশ্ন কংগ্রেসের

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ লাদাখ থেকে ফেরার পরে আজ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাজনাথ লাদাখে বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন।

সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং স্থলবাহিনীর প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণের সঙ্গে লেহ-তে প্রধানমন্ত্রী। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত এবং স্থলবাহিনীর প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণের সঙ্গে লেহ-তে প্রধানমন্ত্রী। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২০ ০৪:৫১
Share: Save:

প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী দু’জনেই লাদাখ ঘুরে এসেছেন। তার পরেও চিনের সেনা দেপসাং ভ্যালিতে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছে বলে আজ অভিযোগ তুলল কংগ্রেস। উপগ্রহ থেকে তোলা ছবি-র ভিত্তিতে কংগ্রেসের দাবি, দেপসাং ও দৌলত বেগ ওল্ডি বিমানঘাঁটি সংলগ্ন এলাকায় চিনা সেনার শিবির রয়েছে। চিনের নিজস্ব দাবি অনুযায়ী, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে এসেই তাদের সেনা এই ঘাঁটি গেড়েছে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ লাদাখ থেকে ফেরার পরে আজ সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাজনাথ লাদাখে বিহার রেজিমেন্টের জওয়ানদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাঁদের পিঠ চাপড়ে বলেন, ‘ওয়েল ডান! সবাইকে আমার অভিনন্দন।’

কিন্তু কংগ্রেস রাজনাথের বিবৃতি নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে। রাজনাথ লাদাখে জওয়ানদের বলেছিলেন, “এখনও পর্যন্ত কথাবার্তায় যেটুকু অগ্রগতি রয়েছে, তাতে সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত। কতখানি সমাধান হবে, তার গ্যারান্টি দিতে পারব না।” কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা একে ‘আশ্চর্য মন্তব্য’ বলে আখ্যা দিয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে চাই, সরকার কি মেনে নিয়েছে, চিনের সঙ্গে কথা বলে সমাধান সম্ভব নয়? চিন কি দেপসাং ও দৌলত বেগ ওল্ডি-তে সেনা শিবির তৈরি করেছে? উপগ্রহ চিত্রে তো তেমনই দেখা যাচ্ছে। মোদী সরকার এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ করবে?”

দেপসাং-এ চিনের উপস্থিতি মেনে নিয়েই সেনা সূত্র বলছে, চিনের সঙ্গে আলোচনায় গালওয়ান ও প্যাংগং লেকের বিষয়ে আলোচনা হলেও দেপসাং-এর বিষয় এখনও আসেনি। কারণ দেপসাং-এ চিন ও ভারতের সেনা মুখোমুখি দাঁড়িয়ে নেই। সংঘাতের আশঙ্কা নেই। এখন প্যাংগং-গালওয়ানের মতো সংঘাতের আশঙ্কা থাকা এলাকাগুলিতে উত্তেজনা কমানো নিয়েই আলোচনা চলছে। যখন গোটা প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা নিয়ে আলোচনা শুরু হবে, তখন দেপসাং-এর প্রসঙ্গ উঠবে। কিন্তু প্রাক্তন সেনা-কর্তারা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, প্যাংগং-এর তুলনায় দেপসাং রণকৌশলগত দিক থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দেপসাং থেকে মাত্র ছয় কিলোমিটার দূরে দৌলত বেগ ওল্ডি রোড। দেপসাং-এর কাছে নারি-গুনসা অসামরিক বিমানঘাঁটিকে চিন সামরিক ঘাঁটিতে পরিণত করেছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, চলতি সপ্তাহে ২২ জুলাই থেকে দু’দিন বায়ুসেনার কমান্ডারদের বৈঠকে চিনের সঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হবে। তখন সমস্ত ঝুঁকির দিকগুলি খতিয়ে দেখা হবে। কংগ্রেসের অভিযোগ, দৌলত বেগ ওল্ডি থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দূরের ওয়াই-জাংশনে ভারতের সেনা ১০ থেকে ১৩ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্টে যেতে পারছে না। কিন্তু গোটা বিষয়টি নিয়ে মোদী সরকার দেশের মানুষকে অন্ধকারে রেখেছে। আজ কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেন, “বিদেশ নীতিকে লঘু করে দিয়ে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টে নামিয়ে আনা যায় না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi Rahul Gandhi Congress BJP
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE