তুর্কমেনিস্তানের আর্কাদাগ শহরে মাঠের বাইরে শুধু নয়, ভিতরেও বিপর্যস্ত ইস্টবেঙ্গল। এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের শেষ আটে এফসি আর্কাদাগের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে মাঠের বেহাল অবস্থার জন্য ঠিক মতো অনুশীলনই করতে পারলেন না রাফায়েল মেসি, দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোস-রা!
যুবভারতীতে প্রথম পর্বের দ্বৈরথে ০-১ হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। শেষ চারে যোগ্যতা অর্জনের জন্য বুধবার আর্কাদাগের বিরুদ্ধে তাদের ঘরের মাঠে অন্তত দু’গোলের ব্যবধানে জিততেই হবে সাউল ক্রেসপোদের। ১-০ জিতলে ম্যাচ গড়াবে টাইব্রেকারে। মরণ-বাঁচন দ্বৈরথের আগে একের পর এক সমস্যায় বিপর্যস্ত লাল-হলুদ শিবির। দীর্ঘ বিমানযাত্রার পরে বিধ্বস্ত অবস্থায় রবিবার আর্কাদাগের স্থানীয় সময় সকাল ন’টা নাগাদ পৌঁছন ফুটবলাররা। হোটেলে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের জানিয়ে দেওয়া হয়, কেউ বাইরে বেরোতে পারবেন না। অর্থাৎ, হোটেলে বন্দি থাকতে হবে। বিকেল পর্যন্ত পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করতে পারেননি ফুটবলারেরা। কারণ, বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও তাঁদের মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া হয়নি।
অনুশীলনের জন্য সোমবার ইস্টবেঙ্গলকে দেওয়া হয়েছিল আলতিন আসিরের স্টেডিয়াম। কিন্তু মাঠ দেখেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন সকলে। অসমান মাঠের বিভিন্ন অংশে ঘাস উঠে গিয়েছে। ফুটবলারদের চোট লাগার আশঙ্কায় খুব বেশিক্ষণ অনুশীলন করানোর ঝুঁকিও নেননি অস্কার। ইস্টবেঙ্গলের এক সদস্য বলছিলেন, ‘‘অনুশীলনের জন্য যে মাঠ আমাদের দেওয়া হয়েছিল, তা একেবারেই খেলার যোগ্য নয়। যে কোনও সময় বড় চোট পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই কারণেই এক ঘণ্টারও কম অনুশীলন হয়েছে। অবশ্য বেশিক্ষণ প্রস্তুতি নেওয়ার পরিস্থিতিও ছিল না। আশা করছি, ম্যাচের জন্য ভালমাঠই পাব।’’
অনুশীলনের পরে অস্কার খুশি হয়েছেন কেউ চোট না পাওয়ায়। কারণ, ইতিমধ্যেই আনোয়ার আলি ছিটকে গিয়েছেন। তাই রক্ষণ নিয়ে তাঁর উদ্বেগ থেকেই যাচ্ছে। আর্কাদাগের বিরুদ্ধে ম্যাচের আগে নতুন কেউ চোট পেলে সমস্যা বাড়বে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)