শিগগিরই বড় রকমের জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটতে পারে ভারতে। সোমবার ‘শিবরাত্রি উৎসবে’র সময় উত্তর বা পশ্চিম ভারতের যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ওই সন্ত্রাসবাদী হামলা চালাতে পারে এক সময় পাকিস্তানের ‘মদতপুষ্ট’ দুই জঙ্গি সংগঠন ‘লস্কর-ই-তইবা’ ও ‘জইশ-ই-মহম্মদ’।
সেই হামলার ফন্দি এঁটেই আরব সাগর দিয়ে জলপথে গোপনে গুজরাতে ঢুকে পড়েছে কম করে জনাদশেক লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গি। তাদের মধ্যে রয়েছে মহিলা ‘সুইসাইড বম্বার’ও। পাকিস্তানের প্রশাসন সূত্রেই এই খবর পাওয়া গিয়েছে। ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে এই খবর দিয়েছেন পাকিস্তানের নিরাপত্তা উপদেষ্টা নাসির খান জানজুয়া। ওই খবর পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে দিল্লি। গুজরাত জুড়ে জারি করা হয়েছে ‘হাই অ্যালার্ট’। চরম সতর্কতা জারি করা হয়েছে দিল্লিতেও। পাকিস্তান সীমান্ত লাগোয়া কচ্ছ উপকূল ও তার আশপাশের এলাকা তো বটেই, জঙ্গিদের খোঁজে জোর তল্লাশি চালানো হচ্ছে গুজরাত-মধ্যপ্রদেশ, গুজরাত-মহারাষ্ট্র ও গুজরাত-রাজস্থানের সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতেও। গোয়েন্দাদের অনুমান, নৌকায় করে কচ্ছ উপকূলে নামার পর সীমান্তরক্ষী বাহিনীর নজর এড়াতে জঙ্গিরা হয়তো ছদ্মবেশে ঢুকে পড়েছে দিল্লি বা তার আশপাশের কোনও এলাকায়। এরা বিশেষ কোনও শপিং মল বা জনবহুল বাজার এলাকায় হামলা চালাতে পারে ওই জঙ্গিরা।
আরও পড়ুন- ‘পাউন্ড দিন নয় তো উড়িয়ে দেব কলকাতা বিমানবন্দর’
গোয়েন্দা সূত্রের খবর, সোমবার ‘শিবরাত্রি’ উৎসবের আগে-পরেই ওই হামলা চালানোর ছক কষা হয়েছে। পুলিশ, সেনাবাহিনী, সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও আধাসেনাদের সতর্ক করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে এনএসজি-র চারটি দলকে পাঠানো হয়েছে গুজরাতে। জোর তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে গুজরাতের প্রধান ধর্মস্থানগুলিতে। তল্লাশি চলছে বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, গুরুত্বপূর্ণ শপিং মল, বাজার এলাকা ও বাস-স্ট্যান্ডগুলিতেও। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও লস্কর জঙ্গি বা তাদের কোনও সাগরেদকে ধরা যায়নি। শনিবার রাতে কচ্ছ উপকূলের কাছে কোটেশ্বর ক্রিক এরিয়ায় একটি নৌকা আটক করেছেন সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা।
গুজরাতে সব পুলিশ অফিসারের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। রবিবার জরুরি বৈঠক ডেকেছেন গুজরাত পুলিশের ডিজি পিসি ঠাকুর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy