শনিবার কুয়াশায় মোড়া দিল্লি। ছবি: রয়টার্স।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে কাশ্মীরে প্রবল তুষারপাত হচ্ছে। তার ফলে হু হু করে তাপমাত্রার পারদ নামছে দিল্লি-সহ গোটা উত্তর ভারতে। কোনও কোনও অঞ্চলে শৈত্যপ্রবাহও শুরু হয়ে গিয়েছে। মৌসম ভবন সূত্রে খবর, আগামী দিনে উত্তর ভারতের তাপমাত্রা আরও কমবে।
দিল্লিতে তাপমাত্রা ইতিমধ্যেই ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে চলে গিয়েছে। শনিবার তো দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছিল ৪.২ ডিগ্রিতে। ঠান্ডার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কুয়াশার দাপট। কুয়াশার কারণে বেশ কিছু ট্রেন বাতিল হয়েছে। সময় পুনর্নির্ধারিত করা হয়েছে কয়েকটি ট্রেনের। আবার অনেক ট্রেন দেরিতে চলছে বলেও রেল সূত্রে খবর। খারাপ আবহাওয়ার জন্য দিল্লি বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামাতেও সমস্যা হয়েছে।
অন্য দিকে, শীতের কামড় থেকে বাদ পড়েনি উত্তরপ্রদেশও। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় গত কয়েক দিনে রাজ্যে প্রায় ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে রাজ্যের পূর্বাঞ্চলে ২২ জন, ব্রিজ ও বরেলিতে ৬ জন, এলাহাবাদ ডিভিশনে ১১ এবং বুন্দেলখণ্ডে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে তুষারধসে নিখোঁজ ৪, মৃত ১
গত ২৪ ঘণ্টায় সুলতানপুরে তাপমাত্রা হু হু বেগে নেমে দাঁড়ায় ২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। লখনউয়ের অবস্থাও তথৈবচ। শুক্রবার ওই শহরে এই মরসুমের শীতলতম দিন ছিল। বাহরাইচে এ দিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩.৪, মুজফফরনগরে ৪.৯, কানপুরে ৪.২, বারাবাঁকিতে ৩.৪ এবং বারাণসী, মেরঠ, লখিমপুর খেরিতে তাপমাত্রার পারদ ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশেই ঘোরাঘুরি করেছে।
আরও পড়ুন: নিশানা পুলিশ, কাশ্মীরের বাজারে বিস্ফোরণে হত ৪
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এখনই ঠান্ডা এবং শৈত্যপ্রবাহের হাত থেকে রেহাই মিলবে না উত্তরপ্রদেশবাসীর। আগামী কয়েক দিন এই পরিস্থিতি বজায় থাকবে। ১০ জানুয়ারির পর থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হতে পারে।
হিমাচল প্রদেশে এ দিন নতুন করে তুষারপাত হয়েছে। সেই সঙ্গে চলছে শৈত্যপ্রবাহও। মানালি তাপমাত্রা হিমাঙ্কের ২.৪ ডিগ্রি নীচে। সিমলায় ২.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শৈত্যপ্রবাহের কারণে উত্তর ভারতে ঘুরতে যাওয়া অনেক পর্যটক বিভিন্ন জায়গায় আটকে রয়েছেন গত দু’দিন ধরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy