তেজস্বী যাদব। ফাইল চিত্র।
বিহারের ভোটে সেই মারদাঙ্গা, রক্তপাতের দিন ফুরিয়েছে। কিন্তু প্রচারে নেমে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলির পারস্পরিক আক্রমণের বিরাম নেই। প্রচার পর্বে সাড়া মেলা যদি সূচক হয়, তবে কংগ্রেস-আরজেডি-বাম মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী তেজস্বী যাদব যে ভাবে ছয় বারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে টক্কর দিচ্ছেন, তাতে অনেকেই বিস্মিত। শিবসেনার সাংসদ সঞ্জয় রাউত সোজাসুজিই বলেছেন, তেজস্বীকে এ বার বিহারে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে দেখলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। রাউতের কথায়, “তেজস্বী বয়সে তরুণ। অভিভাবক জেলে, সিবিআই-ইডি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থা নাগাড়ে পিছনে লেগে রয়েছে। তার পরেও তিনি প্রচারে সাড়া ফেলে দিয়েছেন, কারণ বিহারের গরিব মানুষের, পরিযায়ী শ্রমিকদের মনের কথাগুলোই তিনি বলছেন। মানুষ তাতে সাড়া দিচ্ছেন।’’
সেই তেজস্বী এ বার একটি পুরনো ভিডিয়ো বাজারে ছেড়েছেন। সে ভিডিয়ো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি বক্তৃতার। পাঁচ বছর আগে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে মোদী এই বক্তৃতায় দাবি করেছিলেন, নীতীশের আমলে অন্তত ৬০টি বড় দুর্নীতির ঘটনা ঘটেছে বিহারে— টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ অন্তত ৩০ হাজার কোটি। ঘটনাচক্রে ২০১৫-য় নীতীশের দল জেডিইউ ছিল বিজেপির প্রতিদ্বন্দ্বী মহাজোটের শরিক। আর এ বার সেই নীতীশের হয়ে ভোট চাইতে ময়দানে মোদী। তেজস্বীর যুক্তি— জোট বদলায়, দল বদলায়, কিন্তু ৩০ হাজার কোটির দুর্নীতির সেই অভিযোগ বিহারের মানুষ ভোলেননি। এ দিন টুইটেও নীতীশকে আক্রমণ করেছেন আরজেডি প্রধান। লিখেছেন, “মাননীয় নীতীশজি মেনে নিয়েছেন, তিনি বিহারের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও শিল্প ক্ষেত্রকে ধ্বংস করে ছেড়েছেন। দু’টি প্রজন্মের ভবিষ্যৎকে তিনি অন্ধকারে নিমজ্জিত করেছেন। এই কারণেই নীতীশজি বেকারত্ব, কর্মসংস্থান, শিল্প-বিনিয়োগ এবং শ্রমিকদের পরিযান নিয়ে একটা শব্দও খরচ করছেন না। তাঁর কি উচিত নয়, এই সব বিষয় তুলে আনা?”
নীতীশ জবাব দেননি প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রশ্নের। দিয়েছে, তাঁর বড় শরিক বিজেপি। বিজেপির নেতা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে এ দিন বিহারে প্রচারে এসে তুমুল চার-ছয় হাঁকিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘মানুষের সমস্যা নিয়ে কী বোঝে আনপড় তেজস্বী? ক্যাবিনেটের ইংরেজি বানান লিখতে দিলে পারবে? দশ ক্লাস না-পেরনো সেই কাল-কা-যোগী জ্ঞান দিচ্ছে আমাদের নীতীশ কুমারকে, যিনি এক জন পাশ করা ইঞ্জিনিয়ার?” মহাজোটকে ‘গাপ্পু-পাপ্পু জোট’ বলে চৌবে দাবি করেন, এরা মিথ্যা প্রতিশ্রুতিই দেয়। তাতে ভরসা করা উচিত নয়। বিনামূল্যে কোভিডের টিকার বিষয়টিকে নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন আপত্তি তুললেও, ফের সে কথা বলেছেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বলেছেন, “সব ঠিক থাকলে বিনামূল্যে করোনার টিকা পাবেন সবাই। গোলমেলে সরকার এলে তা নিয়ে লুটপাট বেধে যাবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy