তরুণ তেজপাল।
সহকর্মীকে ধর্ষণের অভিযোগে তহেলকার কর্ণধার তরুণ তেজপালের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করল গোয়ার নিম্ন আদালত। সরকারি আইনজীবী ফ্রান্সিসকো টাভোরা জানিয়েছেন, ২,৬৮৪ পাতার চার্জশিটে তরুণের বিরুদ্ধে ধর্ষণ-সহ পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে, যার মধ্যে যৌন হেনস্থার সঙ্গে রয়েছে জোর করে আটকে রাখার অভিযোগও। আগামী ২১ নভেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।
ঘটনা চার বছর আগের। তহলকারই তৎকালীন এক তরুণী কর্মীর অভিযোগ ছিল, ২০১৩ সালের নভেম্বরে গোয়ার এক পাঁচতারা হোটেলের লিফটে তাঁকে যৌন হেনস্থা করেছেন তরুণ। গোয়া পুলিশ তদন্তে নেমে জানায়, এক দিন নয়, পর পর দু’দিন ওই তরুণীকে যৌন হেনস্থা করেছেন তরুণ।
যদিও তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে বলে বরাবর দাবি করে এসেছেন তরুণ। তাঁর বক্তব্য ছিল, গোয়ার বিজেপি সরকারের সমালোচনা করার প্রতিশোধ হিসেবে তাঁর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা এনেছে রাজ্য সরকার। হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ তরুণীর অভিযোগের সঙ্গে মিলে গিয়েছে বলে দাবি করেছিল গোয়া পুলিশ। ২০১৩-র ৩০ নভেম্বর তরুণকে গ্রেফতার করা হয়। ছ’মাস গোয়ার ভাসকো-র একটি জেলে বন্দি ছিলেন তিনি। ২০১৪-র মে মাসে জামিনে মুক্তি পান। এখনও জামিনেই মুক্ত রয়েছেন বছর পঞ্চাশের এই সাংবাদিক।
ঘটনার পর পর তহেলকা থেকে ইস্তফা দেন নির্যাতিতা তরুণী। তার কিছু দিনের মধ্যে পদত্যাগ করেন তরুণও। গোটা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তহেলকার তৎকালীন ম্যানেজিং এডিটর সোমা চৌধুরীর বিরুদ্ধে। যদিও সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন সোমা।
অভিযোগকারিণীকে করা তরুণের বেশ কয়েকটি ই-মেল ও সোমা-তরুণের মধ্যে কিছু ই-মেল আদানপ্রদান সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়ে গিয়েছিল। পুলিশের বক্তব্য ছিল, ওই ই-মেলগুলি তরুণকে দোষী সাব্যস্ত করার পক্ষে যথেষ্ট।
এই মামলার বিচার স্থগিত রাখার জন্য গোয়ার মাপুসা আদালতে আর্জি জানিয়েছিলেন তরুণের আইনজীবী। তাঁদের বক্তব্য ছিল, যে হেতু বম্বে হাইকোর্টে এই মামলার চার্জ গঠনকে তাঁরা চ্যালেঞ্জ করেছেন, সে জন্য হাইকোর্টের নির্দেশ আসার আগে পর্যন্ত মামলার শুনানি স্থগিত থাকুক। কিন্তু গোয়া আদালত সেই আর্জি খারিজ করে দেয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy