Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
National

মধ্যপ্রদেশের কলেজে ‘তালিবানি’ ফতোয়া, ‘যুদ্ধ’ ঘোষণা ছাত্রীদের

শর্টস বা মিনি স্কার্ট পরে কলেজের ক্যাম্পাস, হস্টেলের অফিস আর লবিতে ঘোরাঘুরি করা চলবে না। কলেজের পর কোচিং ক্লাস করতে যতই দূরে যেতে হোক, রাত ৯টার পর এলে কোনও ছাত্রীকেই হস্টেলের ঘরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সে ক্ষেত্রে, রাতটা চার পাশ খোলা লবিতে শুয়েই কাটাতে হবে। শুধু ছাত্রীদের ক্ষেত্রেই নিয়মের এই বেড়ি-বাঁধন।

ছাত্রীদের বিক্ষোভ। মধ্যপ্রদেশের সেই কলেজে। শুক্রবার। ছবি- ইন্টারনেট।

ছাত্রীদের বিক্ষোভ। মধ্যপ্রদেশের সেই কলেজে। শুক্রবার। ছবি- ইন্টারনেট।

সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০১৬ ১৬:৫৫
Share: Save:

শর্টস বা মিনি স্কার্ট পরে কলেজের ক্যাম্পাস, হস্টেলের অফিস আর লবিতে ঘোরাঘুরি করা চলবে না। কলেজের পর কোচিং ক্লাস করতে যতই দূরে যেতে হোক, রাত ৯টার পর এলে কোনও ছাত্রীকেই হস্টেলের ঘরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। সে ক্ষেত্রে, রাতটা চার পাশ খোলা লবিতে শুয়েই কাটাতে হবে। শুধু ছাত্রীদের ক্ষেত্রেই নিয়মের এই বেড়ি-বাঁধন। ছাত্ররা যখন তখন ফিরতে পারে হস্টেলের ঘরে। ক্যাম্পাস, হস্টেলের অফিস, লবিতে যেমন খুশি পোশাক পরে ঘোরাফেরা করতে পারে। তাদের জন্য নেই কোনও ‘একুশে আইন’।

এই ‘তালিবানি ফতোয়া’ জারি হয়েছে মধ্যপ্রদেশের একটি কলেজ ‘মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’-তে। হস্টেলে ফেরার সময়ের ফতোয়াটা আগেই জারি হয়েছিল। পোশাকের ওপর ‘তালিবানি নির্দেশ’টা দেওয়া হয়েছে দিনদু’য়েক আগে। ওই ‘একুশে আইনে’ তিতিবিরক্ত হয়ে শুক্রবার কলেজ-ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ছাত্রীরা। পোশাক আর হস্টেলে ফেরার সময়ের বেড়ি-বাঁধন অবিলম্বে খুলে নেওয়ার দাবিতে শর্টস পরে তাঁদের দিনভর অবস্থান- বিক্ষোভও শুরু হয়ে গিয়েছে কলেজ-ক্যাম্পাসে। ‘তালিবানি ফতোয়া’ অবিলম্বে তুলে না নেওয়া হলে ছাত্রীরা জাতীয় মহিলা কমিশনে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কলেজে ছাত্রীদের পোশাক নিয়ে এমন ফতোয়া জারির ঘটনা কয়েক বছর ধরেই ঘটে চলেছে।

‘মৌলানা আজাদ ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’র এক ছাত্রী শিবাঙ্গীর কথায়, ‘‘আমরা কী পরব আর কী পরব না, সেটা তো আমরা ঠিক করব। যে পোশাক পরলে আমরা সহজে চলাফেরা করতে পারি, ওঠা-বসা করতে পারি, আমরা তো সেই পোশাকই পরব। কেন শর্টস পরব না? এটা তো একুশ শতক। অন্যের কথা শুনে জামাকাপড় পরব?’’

আরেক ছাত্রী হর্ষার কথায়, ‘‘আমাদের কলেজ চলে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। তার পর কোচিং ক্লাস করতে আমাদের অনেককেই অনেকটা দূরে যেতে হয়। রাতে রাস্তাঘাটে যানবাহনের সংখ্যা কমে যায়। ফলে হস্টেলে ফিরতে কিছুটা দেরি হয়ে যায়। যদিও রাত ৯টার মধ্যে না ঢুকতে পারলে, আমাদের (ছাত্রীদের) জন্য হস্টেলের দরজা বন্ধ হয়ে যায়। হাজার অনুরোধ-উপরোধেও দরজা খোলা হয় না। ফলে, ভীষণ অসুবিধা হয়। অনেক সময়েই আমাদের চার পাশ খোলা লবিতে শুয়ে গোটা রাতটা কাটিয়ে দিতে হয়।’’

আরও পড়ুন- অসমের ব্যস্ত বাজারে জঙ্গি হামলায় হত ১৪

অন্য বিষয়গুলি:

Taliban Dress Code Women Protest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE