Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Supreme Court

মণিপুরের অশান্তি নিয়ে বহু মামলা জমে সুপ্রিম কোর্টে! প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে সোমবারেই শুনানি

বিজেপি বিধায়ক গাংমেইয়ের অভিযোগ, ‘হিলস এরিয়া কমিটি’কে মামলার পক্ষ না করেই মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফসিলি জনজাতির তকমা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্যকে বিবেচনা করে দেখতে বলেছে মণিপুর হাই কোর্ট।

Supreme Court to hear petitions on Manipur Clash on Monday

মণিপুরের অশান্তি নিয়ে যাবতীয় মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০২৩ ১৩:০৫
Share: Save:

মণিপুরের অশান্তি নিয়ে একাধিক মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেগুলিকে একত্র করে সোমবার সব পক্ষের বক্তব্য শুনবে শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসীমা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চে মণিপুর সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার শুনানি হওয়ার কথা।

মণিপুরের শাসক দল বিজেপির বিধায়ক তথা মণিপুর বিধানসভায় ‘হিলস এরিয়া কমিটি’র চেয়ারম্যান ডিনগ্যাংলাং গাংমেই মণিপুর হাই কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এর পাশাপাশি, মণিপুর ট্রাইবাল ফোরাম নামের একটি সংগঠনও রাজ্যের তফসিলি জনজাতিদের উপর আক্রমণের অভিযোগ তুলে শীর্ষ আদালতে মামলা করেন। বিজেপি বিধায়ক গাংমেইয়ের অভিযোগ, ‘হিলস এরিয়া কমিটি’কে মামলার পক্ষ না করেই মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফসিলি জনজাতির তকমা দেওয়ার বিষয়টি রাজ্যকে বিবেচনা করে দেখতে বলেছে মণিপুর হাই কোর্ট। গত ২৭ মার্চ হাই কোর্ট ওই নির্দেশ দেয়। তার জেরেই রাজ্য অশান্ত হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

মণিপুরি ছাত্র সংগঠন ‘অল ট্রাইবাল স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফ মণিপুর’ (এটিএসইউএম)-এর তরফে বুধবার আন্দোলনকারী মেইতেই জনগোষ্ঠীকে তফসিলি জনজাতিভুক্ত করার দাবির বিরোধিতা করে একটি মিছিল বার করা হয়েছিল। সেখান থেকেই হিংসা ছড়ায় বলে অভিযোগ। মূলত সমতল এলাকার বাসিন্দা মেইতেইরা মণিপুরের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী। অন্য দিকে, কুকি, অঙ্গামি, লুসাই, নাগা, থাড়োয়াসের মতো প্রায় ৩০টি জনজাতি গোষ্ঠীর বাস পাহাড়ি এলাকায়। তাদের আশঙ্কা, জনজাতির মর্যাদা পেলেই পাহাড়ি এলাকার জমিতে হাত বাড়াবে মেইতেইরা। এখন জনজাতির মর্যাদা না পাওয়ায় তারা ওই জমি কিনতে পারে না।

অন্য বিষয়গুলি:

Supreme Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE